ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে বধ্যভুমি সাড়ে ৪ দশক পরেও সংরক্ষণ করতে পারেনি প্রশাসন

প্রকাশিত : ১৭:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পরেও চট্টগ্রামের মুুিক্তযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভুমি সংরক্ষণ করতে পারেনি প্রশাসন। ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক স্মৃতিচিহ্ন। এজন্যে প্রশাসনের সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরতে শিগগিরই বধ্যভুমি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হবে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০সালে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বধ্যভূমি চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ৮৯টি স্থান চিহ্নিতও করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালরা বাঙ্গালীদের নৃশংসভাবে হত্যার পর যেসব স্থানে গণকবর দেয়া হয় তার মধ্যে পাহাড়তলীর বধ্যভুমি অন্যতম। সেটিও বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান এবং বধ্যভুমি স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও সংরক্ষন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে চট্টগ্রামের পটিয়া এবং আনোয়ারায় দু’টি বধ্যভুমি নির্মানের প্রস্তাব তৈরীর কথা জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এসব বধ্যভুমি সংরক্ষনের কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেয়া যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। যদিও বধ্যভুমি সংরক্ষনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এসব স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী চট্টগ্রামবাসীর।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি