ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫২, ৫ অক্টোবর ২০১৭

লোভনীয় চাকরি ও ব্যবসায় অংশীদারিত্বের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই বলছে, মূলত অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে তাঁদের দীর্ঘদিনের সঞ্চয় হাতিয়ে নিত এই চক্র।

আজ শনিবার আগারগাঁওয়ে পিবিআইর ঢাকা মেট্রোর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার পল্লবীর একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন মো. হারুন অর রশিদ, সনজ সাহা, শামছুল আলম মজুমদার, আমিনুল ইসলাম ও মো. মোকসেদুর রহমান।

পিবিআই ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তবে এই সংখ্যাটি আরও বেশি বলে তাদের ধারণা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, এখন পর্যন্ত ১২ জন ব্যক্তি এই চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন বলে পিবিআইকে জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও উচ্চ পদস্থ আরও কর্মকর্তা রয়েছেন। শুধুমাত্র এক যুগ্ম সচিবের কাছ থেকেই এই চক্রটি এক কোটি ৪৮ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পিবিআইর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাইনুল হাসান (পূর্ব) বলেন, আটক আসামিরা প্রথমে জাতীয় দৈনিকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত। ওই বিজ্ঞাপনে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, আর্মি ও সিভিল অফিসারদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা আলাদা করে উল্লেখ থাকত। বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাঁরা টার্গেট নির্ধারণ করতেন। এরপর সহযোগীদের মাধ্যমে তাঁদের নিজেদের সাজানো অফিসে নিয়ে যাওয়া হতো।

মাইনুল বলেন, চক্রটি অফিসে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদেরই আরেক সহযোগীকে স্যুট, টাই ও মাথায় হ্যাট পরিয়ে নিয়ে আসতেন। অনর্গল হিন্দিতে কথা বলে নিজেকে মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন। একপর্যায়ে তাঁরা ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়েই তাস খেলা শুরু করতেন। খেলায় ভারতীয় ব্যবসায়ীকে হারিয়ে লাখ লাখ টাকা জিতেছে বলে দেখানো হতো। এভাবে টার্গেটে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের কৌশলে আস্থায় নিয়ে এসে ব্যবসার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতো। কথামতো ওই ব্যক্তি টাকা নিয়ে গেলে চক্রের সদস্যরা টাকা রেখে তাঁকে পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলে বিদায় করে দিতেন। এরপর চক্রটি অফিসের জিনিসপত্র গুটিয়ে অন্যত্র চলে যেতো।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি