ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হুয়াওয়ে নোভা টুআই

চার ক্যামেরা, ফুল ভিউ ডিসপ্লে ও ফেস আনলক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

গেল বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের বাজারে প্রথম চার ক্যামেরার মোবাইল ফোন আনে হুয়াওয়ে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে মুঠোফোনের এই মডেলটির নাম রাখে ‘নোভা টুআই’। মুঠোফোনটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর চার ক্যামেরা ও হুয়াওয়ে ফুলভিউ ডিসপ্লে। এছাড়া হুয়াওয়ের আগের ফোনগুলোর তুলনায় এর চারপাশের ফ্রেমের পুরত্ব অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে এই মডেলটিতে। ফলে ফোনটি প্রায় বেজেলহীন অর্থাৎ চারপাশে ফ্রেমহীন হয়েছে, যার স্ক্রিনের প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকবে ডিসপ্লে।

আরজিবি ও মনোক্রোম লেন্সের সমন্বয়ে চারটি ক্যামেরা

এই প্রথম হুয়াওয়ে নিজেদের স্মার্টফোনে ব্যবহার করেছে ১৬ ও ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ব্যাক ক্যামেরা এবং মনোমুগ্ধকর সেলফি তোলার জন্য ১৩ ও ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ফ্রন্ট ক্যামেরা। অর্থ্যাত মুঠোফোনটিতে আছে মোট চারটি ক্যামেরা। মাত্র ০.৩ সেকেন্ডে অটোফোকাস, বিএসআই সেন্সর, উন্নত ফ্ল্যাশ, জিও ট্যাগিং, এইচডিআর, প্যানোরমা, সেলফ টাইমার, লাইট পেইন্টিং ও ফেইস ডিটেকশন ফিচার রয়েছে এতে। পেশাদার ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের জন্য এর ব্যাক ও ফ্রন্ট ক্যামেরায় দেয়া আছে পোর্ট্রেট মোড, জেনুইন বোকেহ্ ইফেক্ট এবং কম আলোতে ঝকঝকে ছবি তোলার সুবিধা। এক কথায় দেশে চার ক্যামেরার স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নোভা টুআই হালের যুগান্তকারী একটি উদ্ভাবন। ফোনটির সামনে ও পেছনে ক্যামেরাগুলোতে দেয়া হয়েছে একটি করে আরজিবি ও মনোক্রোম লেন্স। যার এর ফলে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি অত্যন্ত নিখুঁত হয়ে থাকে।

প্রশস্ত হুয়াওয়ে ফুল ভিউ ডিসপ্লে

৫.৯ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে সমৃদ্ধ নোভা টুআই-তে ফুল এইচডি থেকেও আরও উন্নত (১০৮০*২১৬০) রেজ্যুলেশনের পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। স্ক্রিন পিক্সেলে অনেক সূক্ষ্ম কাজের কারিগরি দক্ষতা দেখিয়েছে হুয়াওয়ে যা ব্যবহারকারীকে দেবে ট্রু-টু-লাইভ কালার ও স্বচ্ছ ও পরিষ্কার ছবি। চোখের যাতে ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে এতে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। উল্লেখ্য, এ প্রথম হুয়াওয়ে নিজেদের স্মার্টফোনে ব্যবহার করেছে ফুল ভিউ ডিসপ্লে।  

সৃষ্টিশীল সফটওয়্যার

ফোনটিতে রয়েছে হালনাগাদ অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট অপারেটিং সিস্টেম। দ্রুত ও পরিবর্তনশীল দৃষ্টিনন্দন থিম, হাইকেয়ার, ওয়াই-ফাই ব্রিজ, ইউজার মোড, বিল্ট-ইন অ্যান্টিভাইরাস, হুয়াওয়ে আইডি ও ক্লাউড স্টোরেজ, হুয়াওয়ে শেয়ার এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাকল সেন্সরের মতো ফিচার সম্বলিত ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ে ইএমইউআই ৫.১। সম্প্রতি ইএমইউআই-এর হালনাগাদ সংস্করণ অবমুক্ত করেছে হুয়াওয়ে। এখানে রয়েছে উন্নত ফেস আনলক এবং এআর লেন্সের মতো চমৎকার ফিচার।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার

ডিভাইসটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮ কোরের হাইসিলিকন কিরিন ৬৫৯ মডেলের ৬৪ বিটের শক্তিশালী অক্টাকোর প্রসেসর। দ্রুতগতিতে মাল্টিটাস্কিং, গেম খেলাসহ অন্যান্য কাজ করতে এতে আছে ৪ জিবি র‌্যাম ও ৬৪ জিবি রম বা অভ্যন্তরিণ মেমোরি। এছাড়া মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহার করা যাবে।

সিমেট্রিক ডিজাইন

স্টেট-অব দ্যা আর্ট সিমেট্রিক ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে হুয়াওয়ের নোভা সিরিজের প্রিমিয়াম মডেল নোভা টুআই। উল্লেখ্য, কাটিং এজ রাউন্ডেড নকশা ব্যবহার করা হয়েছে এতে।

কানেক্টিভিটি ও নিরাপত্তা

বিল্ট-ইন ডুয়েল সিম ডুয়েল ষ্ট্যান্ডবাই কানেক্টিভিটি প্রযুক্তির পাশাপাশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে বিশ্বমানের বায়োম্যাট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকোগনিশন প্রযুক্তি আছে হ্যান্ডসেটটিতে। শুকনো এমনকি ভেজা হাতেও ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ফোন আনলক করা, ছবি তোলা এবং কল রিসিভ করা যায়।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি

স্মার্ট মুঠোফোনে ব্যবহারকারীরা যে বিষয়টি নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন তা হল এর ব্যাটারির ক্ষমতা। যেহেতু একজন ব্যবহারকারী প্রায় সারাদিনের জন্য মুঠোফোনটি নিয়ে বাসা থেকে বের হন সেহেতু দীর্ঘক্ষণ যেন তাতে চার্জ থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন এক গ্রাহক। আর তাই দীর্ঘ সময় ধরে চিন্তামুক্ত ব্যবহার নিশ্চিৎ করতে হুয়াওয়ে নোভা টুআই-তে আছে ৩৩৪০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের নন-রিমুভেবল ব্যাটারি। নরমাল, স্মার্ট ও আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মুডের সমন্বয়ে তিন লেভেলের ইন্টেলিজেন্ট পাওয়ার সেভিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে হ্যান্ডসেটটির ব্যাটারি অংশে।

রেটিং

আন্তর্জাতিক বাজারে মুঠোফোনটির রেটিং গত কয়েক মাসে চার দশমিক দুই থেকে চার দশমিক পাঁচ এর মধ্যে ওঠানামা করছে।

এসএইচএস/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি