ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ, শিরদাঁড়ার ক্ষয় থেকে বাঁচার উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ৩০ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

কাজের চাপে কুঁজো হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ভারতের সরকারি পুষ্টি সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশনের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দিনের প্রায় ছ’ঘণ্টা যাঁরা চেয়ারে বসে কাজ করেন, মেরুদণ্ড নুয়ে পড়ছে মূলত তাঁদেরই। আর এঁদেরই ভিড় উপচে পড়ছে অস্থি চিকিৎসকদের চেম্বারে চেম্বারে। দেখা দিয়েছে নতুন অসুখ ‘পুওর পশ্চার সিনড্রোম।’ উপসর্গ, কাঁধে, পিঠে অসহ্য ব্যথা।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাটানোই কাল হয়েছে! এসএসকেএমের অস্থি শল্য চিকিৎসার বিভাগীয় প্রধান ডা. আনন্দকিশোর পাল মনে করেন হাজারো মানুষের দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটে অফিসের চেয়ারে বসে। তারা টেরও পান না, কিভাবে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। যখন হুঁশ ফেরে ততদিনে বেশিরভাগেরই মেরুদণ্ডের আকৃতি বদলে গেছে।

ডা. পাল জানান, এখন সব অফিসেই কম্পিউটার। সামনের দিকে ঝুঁকে কম্পিউটারে টাইপ করেন সকলে। মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক একটা কার্ভ বা গঠন রয়েছে। এক নাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ করলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। সেখান থেকেই ব্যথার শুরু। একদিন আচমকাই বেঁকে যায় শিরদাঁড়া।

লাম্বার পিলো অথবা ছোট এক ধরনের কুশন মেলে বাজারে। তা চেয়ারে রেখে তাতে ঠেস দিয়ে কাজ করতে বলছেন শহরের অস্থি বিশেষজ্ঞরা। তবে তাতে সাময়িক আরাম মিলবে।

ডা. আনন্দ কিশোরের পরামর্শ, টানা দেড় ঘণ্টার বেশি চেয়ারে বসে কাজ করা উচিত নয়। রয়েছে চেয়ারে বসার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মও। কী সেই নিয়ম? চোখ থাকতে হবে কম্পিউটারের সঙ্গে এক মাত্রায়। বুকের কাছাকাছি থাকতে হবে কি-বোর্ড। এই অবস্থাতেই মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করা যায়।

 

বেশিরভাগ অফিসেই কোনোরকম ভাবে টেবিলে কম্পিউটার রেখে একটা চেয়ার বসানো। মাত্রা বা ‘লেভেল’ ঠিক করার কোনও বিষয় নেই।

চিকিৎসকরা বলছেন, স্পাইনাল লিগামেন্ট গার্ডারের মতো একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ‘স্ট্রেচ’ করতে পারে। কিন্তু অফিসের অবৈজ্ঞানিক চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসলে চাপ পড়ে সেই লিগামেন্টে। শহরের অনেক অফিস সমস্যা মেটাতে এখন এরগোনোমিক চেয়ার কিনছে। অস্থি বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, চেয়ার যাই হোক, একটানা বসে থাকা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং দেড় দু’ঘণ্টা বসে থাকার পর উঠে হেঁটে আসতে   বলছেন তাঁরা।

ডা. পালের পরামর্শ, প্রয়োজনে অফিসের সহকর্মীকে মেইল না করে তাঁকে ডেকে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। স্ট্যান্ড ডেস্কে কম্পিউটার রেখে দাঁড়িয়ে কাজ করুন। তাতেই মুক্তি মিলবে যন্ত্রণা থেকে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি