ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে : কাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা কেটে যেতে শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ উৎসবমুখর ও অনুকূল পরিবেশে যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।

তিনি বলেন, এখন সারাদেশে নৌকার পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। এটা আরো বেগবান হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে।
নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কাবোধ করছেন তাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, এবারের নির্বাচন ভালো নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা কেটে যেতে শুরু করেছে। অনুকূল পরিবেশে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, বিএনপি শুরুতেই নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার হীন প্রয়াস চালিয়েছিল। এখন সে অবস্থা নেই। তা কাটিয়ে সারাদেশে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে।

কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা বিএনপির পুরানো অভ্যাস। ভোটের ফলাফলের আগ পর্যন্ত তারা নানা অভিযোগ করেই যাবে। তারা তাদের অভিযোগগুলো আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে। তাদের অভিযোগ নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হলে আমাদের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হবো তা নিশ্চিত। তাহলে আমরা কেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে যাব।

কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা মনে মনে মন কলা খাচ্ছে। তারা বলছে আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লব হবে। ভোট বিপ্লব হবে সত্য তবে তা হবে জগাখিচুড়ির জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব এখনও অটুট রয়েছে। তারা (বিএনপি) বন্ধুহীন হয়ে পড়বে তা বলা যাবে না। তবে উন্নত গণতান্ত্রিক বিশ্বে বিএনপি ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে, তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাবে। তাদের জয়ের কোন আশা নেই। তাই তাদের লিফট সার্ভিস ও নালিশ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে এত দেনদরবার করেও কোন সাড়া পাচ্ছে না। অন্যায় ও অসত্যের সঙ্গে কেউ থাকে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেও তাদের সমর্থন পায় নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিজস্ব স্বচ্ছতা রয়েছে। তারা কার সঙ্গে থাকবে, আর থাকবে না তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

জামায়াত-শিবির দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে দেওয়া এক প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের দেয়া প্রতিবেদনটি গোচরে গেছে। আদালত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার আদালতের। জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র একমাসেরও কম সময় বাকী রয়েছে। এ সময়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার সরকারের নয়। আদালতের এখতিয়ার।

কাদের বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে যে সম্পর্ক তা কোন কৌশলগত সম্পর্ক নয়, তা আদর্শগত। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তারা এক সঙ্গে কাজ করে। বিএনপির সভা-সমাবেশে জামায়াত হলো মুল শক্তি। এটা গোপনের কিছু নয়, এটা সর্বজন বিদিত।

তথ্যসূত্র: বাসস।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি