ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গু নিয়ে ডা. কাজী তারিকুলের পরামর্শ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৬, ৩ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫৭, ৩ আগস্ট ২০১৯

প্রথম দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা অবহেলা করেছেন তারা বেশ বিপদে পড়েছেন। নূন্যতম জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

একুশে টেলিভিশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সরাসরি সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠান ‘ডি ডক্টরস’এ কথা বলেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক এবং জাতীয় গাইড লাইন ডেঙ্গু চিকিৎসা প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম।

শনিবার সকালে ‘ডেঙ্গু জ্বর ও আমাদের করনীয়’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদ। 

ডা. কাজী তারেকুল জানান, ডেঙ্গ বাংলাদেশে আসে ২০০০ সালে। এবং এতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০০২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ায় ডেঙ্গু প্রভাব একটু বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে এর প্রকোপ বেশি। এ বছর ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গুর কারনে এবার মৃত্যুর হার বেশি। এর মাঝে আবার ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়া দেখা যায়। 

প্রতি বছর ডেঙ্গুর যে লক্ষণ চিকিৎসকরা দেখতে পান তা এ বছর দেখা যাচ্ছে না। এ বছর ডেঙ্গু অনেকটা নিরবে শরীরি ভর করছে।  

ডেঙ্গুর চারটা প্রকারভেদ আছে। এটাকে বলে ডেঙ্গু সেরোটাইপ। ঘুরে ফিরে এ চারটাকেই বাংলাদেশে দেখা যায়। কোনো বছর চারটি, কোনো বছর তিনটি, কোনো বছর দুইটা আমাদের দেশে দেখা যায়। ডেঙ্গুর স্বল্পমাত্রার লক্ষণটা যা দেখা যায়, এতে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ চিকিৎসকের কাছে যান না। তারা মনে করেন এগুলো খুবই কম ক্ষতিকর। এর জন্য দোকান থেকে কিছু ঔষুধ এনে সেবন করে ভাবেন এটা স্বাভাবিক জ্বর। তারা ভাবেনই না যে, ডেঙ্গু হয়েছে। 

কারও যদি আগে ডেঙ্গু হয়ে থাকে এবং পরে ঐ চারটি মধ্যে যদি একটিতেও আক্রান্ত হন তাহলে তার অবস্থা খুবই মারাত্মক হবে বলে জানান এ চিকিৎসক। 

তিনি বলেন, ‘এতে করে মানবদেহের যে প্লাজমা আছে তা প্রসরিত হয় এবং রক্তের একটা অংশ বাইরে চলে আসে। এতে করে পেটে, বুকে, ফুসফুসের মধ্যে পানি জমে থাকে। এটা হওয়া হচ্ছে একটা অশনি সংকেত। এই অশনি সংকেত আমরা অনেক পরে বুঝতে পেরেছি। এক্ষেত্রে যারা প্রথম অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে আসেন তারা বেশ খারাপ অবস্থায় পড়েননি। কিন্তু যারা অবহেলা করেছেন তারা বেশ বিপদে পড়েছেন। ডেঙ্গুতে যে ধরণের শক সিনডম হয় তা অন্য রোগে নেই।’

এই ডেঙ্গু কোথায় প্রভাব ফেলবে তা কিন্তু বলা যায় না উল্লেখ করেন এ চিকিৎসক। ডা. তারিকুল আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সচেতনতাই প্রধান বিষয় হতে পারে। আমার কাছে মনে হয় ঢাকা শহরে যদি সমীক্ষা পরিচালনা করা যেত তাহলে দেখা যেত প্রায় সকলেই কোন না কোন সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।’

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি