ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

তরুণরাই পারে বদলে দিতে

মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)

প্রকাশিত : ০০:০৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা ফ্রন্টে নিহত জানা-অজানা সেনাদের স্মৃতি রক্ষার্থে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী কোহিমায় নির্মিত স্মারক সমাধি ক্ষেত্রের একটি পাথরের ওপর খোদাই করে লেখা আছে- ‘When you go home/Tell them of us and say/For your tomorrow/ We gave our today' এর বাংলা হতে পারে এরকম- ‘তোমরা যখন ফিরে যাবে/ তাদের বলবে আমাদের কথা/ বলবে তোমাদের আগামীর জন্য/ আমাদের বর্তমান দিয়ে গেলাম’। এই কথাগুলোর মর্মার্থের স্পর্ষে প্রচণ্ড আবেগ তাড়িত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এই কথাগুলো মনে এলে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের চোখের সামনে যেন সেই রণক্ষেত্রের চিত্রটাই জ্বলন্ত হয়ে ধরা দেয়। অবধারিত মৃত্যু জেনেও একজন মুক্তিযোদ্ধা শত্রুর বাঙ্কারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কেন, কি পাবার জন্য? 

সেদিন ১৯৭১ সালে ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কথার মধ্যে যেন কোহিমার পাথরে খোদিত কথাগুলোরই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। সেদিন নূর মোহাম্মদ শেখের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট দলটিকে পাকিস্তানি সেনারা যখন চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তখন নূর মোহাম্মদ শেখ হুকুমের সুরে সহযোদ্ধাদের বলছেন, ‘শত্রু ঘিরে ফেলেছে, আমার এক জীবনের বিনিময়ে তোমরা সকলে জীবন বাঁচাও, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন কর।’ 

আরেক বীরশ্রেষ্ঠ সেপাই মোস্তফা কামাল একাত্তরের ১৮ এপ্রিল আখাউড়ার গঙ্গাসাগর যুদ্ধে নিজের জীবন দিয়ে ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুরো বাহিনীকে রক্ষা করেন। একইভাবে, একই সংকল্পে শুধুমাত্র স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে, নদীর কুলে, ধান ক্ষেতে জীবন বিসর্জন দিয়েছে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা। মায়ের কান্না, বোনের অশ্রুজল, বাবার বুকফাঁটা আহাজারিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন তারা অকুতোভয়ে বিসর্জন দিতে পেরেছিল বলেই আজ বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ বুক ফুলিয়ে, মাথা উঁচু করে বলতে পারছি আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। 

তাহলে কোহিমা শহরের পাথরের ওপর খোদিত অমর মর্মবাণীর চেতনা কি আমাদের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়কে স্পর্ষ করবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ ৩০-৩৫ লাখ ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। অপার সম্ভাবনার হাতছানি তারা দেখতে পারছে। গত দশ বছরে যে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে তাহলো, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন ও চেতনার ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে বলেই বিপুল সম্ভাবনার উজ্জ্বল দিগন্ত এখন আমাদের সামনে উন্মোচিত।
 
এর বিপরীতে পাকিস্তানি ও সাতচল্লিশের দ্বিজাতি তত্ত্বের আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে কি দশা হয় তার চিত্রও সকলে আমরা দেখেছি ২০০১-২০০৬ মেয়াদে। তাই বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে আজ ভাবতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন আদর্শ-চেতনার রাষ্ট্র তারা চায়। সাতচল্লিশের চেতনার ভারে পাকিস্তান আজ মৃতপ্রায় একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিক সমাজ থেকে আওয়াজ উঠছে তারা এখন বাংলাদেশের মতো হতে চায়। তাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাই বাংলাদেশের অবলম্বন, অন্য কোনো বিকল্প নেই।

লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয় তার সঙ্গে অমোঘ শক্তির সংযোগ থাকে। সাময়িক সংকটে পড়লেও সেই চেতনাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্ম হয়েছে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির হৃদয় থেকে, যার স্বরূপ উন্মোচন করেছেন বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা যদি বিরাজমান না থাকে তাহলে কোহিমার পাথরে খোদিত আহবান বৃথা হয়ে যায়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের জীবন বিসর্জন বৃথা হয়ে যায়। বৃথা হয়ে যায় আমাদের সকল সংগ্রাম ও লড়াই। কিন্তু কঠিন শোনালেও বাস্তব সত্য হলো, ১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডির পথ ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রের ভেতরে এমন পক্ষের উত্থান ও পুনরুত্থান ঘটে, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছুকে বাতিল করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল ও এক নম্বর আদর্শ অসাম্প্রদায়িকতার রক্ষাকবচ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। 

জিয়াউর রহমানের হাত ধরে আবির্ভূত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী রাজনীতি বহাল থাকা পর্যন্ত স্বাধীনতার মৌলিক লক্ষ্য শোষণহীন, লুটপাটমুক্ত বৈষম্যহীন আকাঙ্ক্ষিত শান্তিময় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কারণ রাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শের জায়গা নিয়ে রাজনীতিতে বড় বিভাজন থাকলে তার বিরূপ প্রভাব অবধারিতভাবে পড়বে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে, সর্ব জায়গায়। এই বিভাজনটি এখন রাষ্ট্রের সব সেক্টরের প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, মিডিয়া, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদ্যমান। এই বিভাজনের দুর্বলতার সুযোগে রাষ্ট্রের ভেতরে জন্ম হয়েছে বহুপক্ষীয় সিন্ডিকেট, লুটেরা শ্রেণী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, যারা প্রায়শই রাষ্ট্রশক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় যখন দেখি সরকারের সদিচ্ছা থাকার পরেও পুরানো ঢাকার নিমতলী থেকে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম সরানো যায় না। তার আরও প্রমাণ পাওয়া যায় যখন দেখি রাস্তায় ফিটনেসহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের গাড়ির চাকার নীচে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের জীবন গেলেও দায়িত্বহীন গাড়ির মালিক ও বেপরোয়া চালকদের লাগাম টেনে ধরা যায় না। রাজনীতির চরম বিভাজনের সুযোগে দেশের স্বল্পসংখ্যক দুর্নীতিপরায়ন লুটেরা আজ বাংলাদেশকে পেছন থেকে ছুরি মারছে। টাকার লোভে একজন দুর্নীতিপরায়ন মানুষের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব।

অনৈতিক চরিত্রের অধিকারি ভোগ-বিলাসে আসক্তি একজন দুর্নীতিপরায়ন মানুষ আপনজনকে হত্যা করতেও দ্বিধা করে না। এ জন্যে সফল রাষ্ট্র পরিচালকদের জীবনী পড়লে দেখা যায় একজনের যত দক্ষতাই থাকুক না কেন, যত ঘনিষ্ঠ হোক না কেন, দুর্নীতিপরায়ন মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখেননি। এ গুণের কারণেই সিঙ্গাপুরের লি কিউয়ান ও মালয়েশিয়ার মাহাথির মুহম্মদ বিশ্বের মানুষের কাছে আইকন হয়ে আছেন। গত শতকের ষাটের দশকে লি কিউয়ান যখন বিধ্বস্ত সিঙ্গাপুর নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন, তখন প্রথম ধাক্কাতেই দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ বহুদিনের সঙ্গী কয়েকজন মন্ত্রী যেমন- ট্যান কিয়াগান, টুনবুন ও টে চিয়াং ওয়ানকে শাস্তির মুখোমুখি করেন। তারপর লি কিউয়ানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া। কোহিমায় পাথরে খোদিত বাণীর মহিমা তাদের কর্ণকুহরে পৌঁছায় না। তারা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের নাম শুনেছে বলে মনে হয় না। অথচ দেশ স্বাধীন না হলে এদের বেশির ভাগই পাঞ্জাবিদের গোলাম হয়ে থাকত। ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ছিল- এই দুর্নীতির শেষ কোথায়, খাগড়াছড়িতে একটি ঢেউটিনের দাম এক লাখ টাকা, রেলের প্রকল্পের ক্লিনারের বেতন চার লাখ টাকা, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্পে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণে ৪১ জন কর্মকর্তা যাচ্ছেন উগান্ডায়। পত্রিকায় একটি ঘরের ছবি ছাপা হয়েছে, সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে দুইবান টিন, যার দাম ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। 

উগান্ডার বেশির ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত, সেখানে উন্নত পয়োনিষ্কাশনের অভাব। অথচ সেই উগান্ডায় শিক্ষা নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রামের ওয়াসার কর্মকর্তাগণ। বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদন তো চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি, চেয়ারম্যান হয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত গিয়েছে। সুতরাং এই দায়িত্বহীনতার দায় কেউ এড়াতে পারে না। 

আজ যদি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক-বাহক শক্তিশালী বিরোধী দল থাকতো তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। জাতীয় পার্টি নেই বললেই চলে। বামরা ক্ষীণ থেকে আরও ক্ষীণ হচ্ছে। আর বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে মিশে চরম মুক্তিযুদ্ধ আদর্শ বিরোধী দল হওয়ায় তাদের প্রতি মানুষের সামান্যতম বিশ্বাস নেই। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি চার বার দেশকে বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতি পরায়ন রাষ্ট্রে পরিণত করছিল। ২০০৭-২০০৮ মেয়াদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিল। দুর্নীতির দায়ে বিএনপির শীর্ষ নেত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে জেল খাটছেন। তাদের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান হাওয়া ভবনের দুর্নীতির টাকায় পালিয়ে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। আদালত তাকে দুর্নীতির দায়ে শাস্তি দিয়েছে। আদালতের খাতায় তিনি এখন ফেরারী আসামী। সুতরাং বিএনপির ওপর মানুষের সামান্যতম ভরসা অবশিষ্ট নেই। 

দেশের মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মধ্যে মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে আজ দুর্নীতিবাজ, স্বার্থান্বেষী লুটেরা, সিন্ডিকেট এবং একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রাম ও লড়াই করে চলেছেন। 

কয়েকদিন আগে সম্প্রীতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটা মতবিনিময় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে যদি একাত্তরের সম্মোহনী শক্তিতে জাগিয়ে তোলা যায় তাহলে তাদের দ্বারাই অনেক কিছু করা সম্ভব। অনুষ্ঠানের ফাঁকে চার-পাঁচজন বিসিএস ক্যাডারের তরুণ শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। অনেক কথার ভেতরে তারা সকলেই বললেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি যদি তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

আমি তাদের বলেছি, একাজ শুধু একা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়। দুর্নীতি দূরসহ গত দশ বছরে অর্জিত অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে দেশের সকল মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে, শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই কেবল রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে ও বাইরে অবস্থানকারী সকল দুর্নীতিবাজ ও অপশক্তি পিছু হটতে বাধ্য হবে। তাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আজ একসঙ্গে দুই ফ্রন্টে সংগ্রাম করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী রাজনীতিকে প্রত্যাখান ও বিদায় করে সরকার ও বিরোধী দল, সকলেই যাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয় তার জন্যে এক নম্বর ফ্রন্ট, রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণ প্রজন্মকে যুদ্ধে নামতে হবে। কোহিমার পাথরে খোদিত মর্মবাণীকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। দ্বিতীয় ফ্রন্ট হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী রাজনীতি এবং দুর্নীতি, দুটোই দানবীয় শক্তি। তরুণ প্রজন্ম দায়িত্ব নিলে রাজনীতিকে তারা যেমন বদলে দিতে পারবে, তেমনি পারবে দুর্নীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে। বদলে দেওয়ার শক্তি কেবল তরুণরাই রাখে, যার প্রমাণ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
sikder52@gmail.com

এসি
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


টেলিফোন: +৮৮ ০২ ৫৫০১৪৩১৬-২৫

ফ্যক্স :

ইমেল: etvonline@ekushey-tv.com

Webmail

জাহাঙ্গীর টাওয়ার, (৭ম তলা), ১০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

এস. আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি