ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর নাব্যতা সংকট চরমে (ভিডিও)

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:০৬, ৯ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১৩:০৬, ৯ মার্চ ২০২১

প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর নাব্যতা সংকট চরম আকার ধারণ করে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের।

গাইবান্ধা জেলার ১শ’ ৬৫টি চরে অন্তত ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে তাদের যেতে হয় হাট-বাজার বা শহরে। নভেম্বর থেকে নদীতে পানি না থাকায় তাদের হাঁটতে হয় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ। এসময় বেশি বিপাকে পড়েন বয়স্ক ও রোগীরা। 

চরবাসীরা জানান, এতো পথ হাঁটা অনেক অসুবিধা। কোন একজন রোগী বেশি অসুস্থ্য পড়লে তাকে নিয়ে আসতে দেখা যায় পথেই মারা যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসায় নৌ রুটগুলোতে জমেছে বালির স্তর। ভরাট হয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদের কালাসোনা টার্নিং পয়েন্ট। নাব্য সংকটে বন্ধ রয়েছে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদীর ১০৫টি আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ নৌরুট। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, আমাদের একটা সমীক্ষা চলছে পুরো যমুনা নদীটি দুটি বা তিনটি চ্যানেলে বিভক্ত করে স্থায়ী স্ট্যাবল পাওয়া যায় কি না।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমানে জেলায় চলছে না কোনো ডেজিং কাজ। তবে নদীগুলোকে তিনটি পয়েন্টে বিভক্ত করে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত ড্রেজিং করার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি