দুদকের জালে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাশেম
প্রকাশিত : ১৭:৫০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। এতে আছেন—উপপরিচালক আজিজুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন। চলতি বছরের ২ জুন এম এ কাসেমের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে দুদক।
অনুসন্ধান দলের প্রধান আজিজুল হক জানিয়েছেন, এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দ্রুততম সময়ে তা শেষ করা হবে।
এদিকে ৩ সেপ্টেম্বর নিজামুল আলম নামের এক ব্যক্তি দুদকে নতুন করে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনাকাটার নামে এম এ কাসেম ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনা, সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ অর্থ আত্মসাৎ এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি সিন্ডিকেট গড়ে রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা লোপাট করেন। ২০১৪ সালে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটিতে কিনে সেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া জমি ভরাটের নামে আরও ২০-২৫ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির অর্থ থেকেও নয়জন ট্রাস্টি সদস্যের জন্য ২৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ গাড়ি কেনা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও বহন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে অতিরিক্ত কমিটি গঠন করে সিটিং অ্যালাউন্স নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৮ কোটি টাকার বেশি অর্থ নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা রাখা হয়।
কাসেমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
এসএস//
আরও পড়ুন