ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

দোয়া বা প্রার্থনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২৬ মার্চ ২০২৩

দোয়া যে কত গুরুত্বর্পূণ এটা আমরা জানি। তারপরও আমরা অনেক সময় অনেকে দোয়ার যে গুরুত্ব, প্রার্থনার এই গুরুত্বটাকে আমরা বুঝি না। বুঝি না বলে যেভাবে ডুবে যাওয়া দরকার সেই ডুবে যেতে পারি না।

সকল ধর্মেই প্রার্থনা বা দোয়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো না চাইলে মহান স্রষ্টা -আল্লাহ আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হন!

আমরা এককথায় বলতে পারি যত উপাসনা যত ইবাদত এর সাংরাশ হচ্ছে এই দোয়া বা প্রার্থনা।

নবীজী (স) বলেছেন, দোয়া হচ্ছে বিশ্বাসীর হাতিয়ার, বিশ্বাসীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে দোয়া। ধর্মের মূলধারা হচ্ছে দোয়া এবং দুনিয়া ও আখেরাতের আলো হচ্ছে দোয়া। অনেক সময় আমরা নিজের জন্যে আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে সংকোচ বোধ করি।

কিন্তু নবীজী (স) খুব পরষ্কিারভাবে বলেছেন যে, নিজের জন্যে প্রার্থনা করা এটা হচ্ছে উত্তম ইবাদত এবং তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তোমরা আল্লাহর কাছে চাও, না চাইলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। অতএব আল্লাহর কাছে চাইবেন।

একমাত্র প্রার্থনা বা দোয়াই পারে অভাব ও সমস্যা মুক্ত করতে!

অনেকে আবার বলেন যে, আল্লাহ তো সব জানেন তার কাছে চাওয়া-চাওয়ির দরকারটা কী? আরে সব জানেন তারপরও চাইতে হয়। কারণ তিনি পছন্দ করেন যে আপনি চান।

নবীজী (স) বলেছেন যে, আল্লাহ বলেন, তোমরা আমার ইবাদতের জন্যে আন্তরিকভাবে সময় অন্বেষণ করো তাহলে তোমার অন্তর তৃপ্ত হবে তোমার অভাব দূর হবে। তা না হলে তোমার কর্মব্যস্ততা বাড়বে কিন্তু তুমি অভাবী ও সমস্যাগ্রস্তই থেকে যাবে।

অর্থাৎ আন্তরিকভাবে দোয়ার জন্যে আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্যে সময় বের করতে হবে। যত ব্যস্ত হোন আপনার তা না হলে ব্যস্ততা বাড়বে কিন্তু অভাব এবং সমস্যা থেকে যাবে। একমাত্র দোয়াই আপনাকে অভাব এবং সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

নবীজী (স) বলেন যে, তুমি যদি কোনো বিপদে পড়ো আল্লাহর কাছে দোয়া করবে তিনি বিপদ দূর করে দেবেন। খরা ও অজন্মার কারণে যদি দুর্ভিক্ষে পড়ো তাঁর কাছে দোয়া করবে। তিনি খাদ্য

৫২২.
‘হে আল্লাহ! আমি তোমাতেই সমর্পিত। তোমাকেই বিশ্বাস করেছি। তোমার ওপরই ভরসা করেছি। তোমার কাছেই ফিরে এসেছি। তোমারই কাছে ফয়সালা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! তোমার সম্মানের ওসিলায় আমি তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে তুমি আমাকে রক্ষা করো। তুমি চিরঞ্জীব। আর জ্বীন ও মানুষ মরণশীল।’
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); বোখারী, মুসলিম

৫২৩.
‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, স্রষ্টা-সচেতনতা, পরিশুদ্ধতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।’
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম

৫২৪.
‘হে আল্লাহ! আমাকে যে জ্ঞান দিয়েছ, তার কল্যাণ আমাকে দান করো। আমার জন্যে কল্যাণকর বিষয় আমাকে শিক্ষা দাও। এমন জ্ঞান দান করো, যা দিয়ে আমি উপকৃত হবো।’
—আনাস ইবনে মালেক (রা); নাসাঈ, হাকেম, আশকালানী

৫২৫.
‘হে আল্লাহ! আমাকে সুস্বাস্থ্য সচ্চরিত্র আমানতদারী সদাচরণ ও তকদিরে তৃপ্তি দান করো।’
—আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); মুফরাদ (বোখারী)

৫২৬.
‘হে আল্লাহ! আমি ঋণ ও কুফরী থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। (আউযুবিল্লাহি মিনাল কুফরী ওয়াদ্দাইন)।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা), নাসাঈ

৫২৭.
নবীজী (স) মাঝে মাঝেই দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! আমার পরিবারকে ক্ষুধা নিবারণ উপযোগী রিজিক দান করো’।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

৫২৮.
নবীজী (স) নামাজে রুকু ও সেজদায় বার বার বলতেন : ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলি’ (হে আল্লাহ! তুমি মহাপবিত্র! হে আমাদের প্রতিপালক! সকল প্রশংসা তোমার! হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো।)
—আয়েশা (রা); বোখারী, মুসলিম, নাসাঈ

৫২৯.
নবীজী (স) নামাজে তাশাহুদ ও সালামের মাঝখানে দোয়া পড়তেন : ‘হে আল্লাহ! আমার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করো! আমার গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করো! সকল বাড়াবাড়ি ক্ষমা করো! মাফ করো তেমন সকল গুনাহ, যে সম্পর্কে তুমি সবচেয়ে ভালো জানো। তুমিই আদি, তুমিই অন্ত। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।’
—আলী ইবনে আবু তালিব (রা); মুসলিম

৫৩০.
নবীজী (স) সাধারণত সেজদায় দোয়া করতেন : হে আল্লাহ! আমার ছোট ও বড়, প্রকাশ্য ও গোপন, প্রথম ও শেষ সকল গুনাহ মাফ করো।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

৫৩১.
নামাজ শেষে নবীজী (স) প্রার্থনা করতেন : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি ভীরুতা ও কৃপণতা থেকে, বার্ধক্যের অসহায়ত্ব থেকে, দুনিয়ার অশান্তি থেকে ও কবরের আজাব থেকে’।
—সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা); বোখারী

৫৩২.
নবীজী (স) যখনই নতুন কাপড় পরতেন, তখন তার একটি নামকরণ করতেন। তারপর দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমিই আমাকে এ কাপড় পরার সুযোগ দিয়েছ। আমি তোমার কাছেই এ পোশাকে সুপ্ত কল্যাণের প্রত্যাশা করি। প্রত্যাশা করি, যে উদ্দেশ্যে এ কাপড় তৈরি করা হয়েছে তার সুপ্রভাবের। আশ্রয় প্রার্থনা করছি এ কাপড়ের বা এ কাপড় তৈরির উদ্দেশ্যের সকল অনিষ্ট ও অকল্যাণ থেকে।’
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫৩৩.
‘আল্লাহর নামে ঘর থেকে বের হচ্ছি এবং তাঁর ওপরই ভরসা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন আমি পথভ্রষ্ট না হই। আমি যেন কারো ওপর জুলুম না করি বা কারো জুলুমের শিকার না হই। আমি যেন কারো সাথে দুর্ব্যবহার না করি বা কারো দুর্ব্যবহারের শিকার না হই।’
—উম্মে সালামা (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫৩৪.
নবীজী (স) যে-কোনো অভিযানে অভিযাত্রীদের জন্যে দোয়া করতেন : ‘তোমাদের দ্বীন, তোমাদের বিশ্বাস ও সকল কর্ম আমি আল্লাহর কাছে সোপর্দ করছি’।—আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াজিদ (রা); আবু দাউদ

৫৩৫.
নবীজী (স) কোনো রোগীকে দেখতে গেলে ডান হাত দিয়ে তাকে স্পর্শ করে দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি তার কষ্ট দূর করে দাও। তুমি তাকে নিরাময় করো। তুমিই নিরাময়কারী। তোমার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। তুমি তাকে পূর্ণ নিরাময় প্রদান করো।’ 
[সাহাবীরাও অসুস্থদের নিরাময়ে এই দোয়া করতেন।]
—আয়েশা (রা); বোখারী, মুসলিম

৫৩৬.
নবীজী (স) রোগীকে দেখতে গেলে তার মাথার কাছে বসতেন এবং দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! মহান আরশের অধিপতি, তুমি তাকে নিরাময় করো।’ তিনি সাত বার এই দোয়া পড়তেন।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); তিরমিজী, আবু দাউদ

৫৩৭.
নবীজী (স) রাতে বিছানায় শোয়ার আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে দুই হাত একত্র করে তালুতে ফুঁ দিতেন। তারপর হাত দুটি শরীরে বুলিয়ে নিতেন।
—আয়েশা (রা); বোখারী, মুসলিম

৫৩৮.
নবীজী (স) রাতে যখন বিছানায় ঘুমাতে যেতেন তখন বলতেন : ‘হে আল্লাহ! তোমার নামেই আমার মরণ, তোমার নামেই আমার জাগরণ’। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর বলতেন : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মরণের পর আমাদের জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন। আবার তাঁর কাছেই আমরা সবাই ফিরে যাব’।
—আবু যর গিফারী (রা); বোখারী

৫৩৯.
নবীজী (স) কোনো মজলিস ত্যাগ করার সময় দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে এমন সচেতনতা সৃষ্টি করে দাও, যা আমাদের এবং আমাদের পাপের মাঝে একটা দেয়াল হিসেবে কাজ করবে। আমাদেরকে তোমার আনুগত্য করার এমন সুযোগ দান করো, যা আমাদের জান্নাতে পৌঁছে দেবে। আমাদের বিশ্বাসকে এতটা সুদৃঢ় করো, যাতে আমরা যে-কোনো পার্থিব দুর্ভোগকে সহজে কাটিয়ে উঠতে পারি। আমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও প্রাণপ্রাচুর্য আমৃত্যু অটুট রাখো এবং এ থেকে কল্যাণ লাভের তওফিক দাও। আমাদের প্রতিশোধ স্পৃহাকে আমাদের ওপর যারা জুলুম করেছে, তাদের পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রেখো। শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করো। আমাদের দ্বীনকে বিপদাপন্ন হতে দিও না। পার্থিব ভোগ্যপণ্যকে আমাদের চিন্তার, আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত কোরো না। আমাদের জ্ঞানশূন্য হতে দিও না। আমাদের ওপর সদয় নয় এমন কাউকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); তিরমিজী

৫৪০.
‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের ওপর নিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক যদি তাদের সাথে কঠোর ও নির্মম আচরণ করে, তবে তার প্রতি তুমিও কঠোর হয়ো। আর যদি সে কোমল আচরণ করে, তাহলে তুমিও তার প্রতি দয়া প্রদর্শন কোরো।’
—আয়েশা (রা); মুসলিম

৫৪১.
একদা কয়েকজন নবীজীকে (স) বললেন, ‘দাউস গোত্রের লোকজন ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আপনি তাদেরকে অভিশাপ দিন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ!দাউস গোত্রকে হেদায়েতের নেয়ামত দান করো। তাদেরকে আমার ঘনিষ্ট করে দাও।

__আবু হুরায়রা (রা) ;মুসলিম

৫৪২.
নবীজী (স) একজন মুসাফিরকে দোয়া করেন : ‘আল্লাহ তোমাকে ধর্মপরায়ণ করুন। তোমার সকল গুনাহ মাফ করুন। যেখানেই থাকো সেখানেই তোমার কল্যাণ ও সৎকর্মের পথ সহজ করে দিন।’
—আনাস ইবনে মালেক (রা); তিরমিজী

৫৪৩.
নবীজী (স) যখন কোথাও কোনো জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্ষতির আশঙ্কা করতেন, তখন দোয়া করতেন : ‘হে আল্লাহ! আমি তাদের সব ধরনের অনিষ্ট থেকে তোমার সুরক্ষা ও আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’
—আবু মুসা আশয়ারী (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫৪৪.
নবীজী (স) বিপদাপন্ন অবস্থায় ও কষ্টের সময় দোয়া করতেন : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি মহামহান ক্ষমাশীল। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি মহাকাশ পৃথিবী ও মহান আরশের প্রভু।’
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); বোখারী, মুসলিম

৫৪৫.
নবীজী (স) আমাকে এই দোয়াটি শিক্ষা দেন : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ারহামনি ওয়াহদিনী ওয়ারজুকনি’ (হে আল্লাহ! আমায় ক্ষমা করো! আমায় দয়া করো! আমায় হেদায়েত করো! আমায় রিজিক দান করো!)
—সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা); মুসলিম

রমজান মাস হল দোয়া কবুলের মাস

১২১৮.
আল্লাহ বলেন, মানুষের প্রতিটি আমল বা কাজ হচ্ছে তার নিজের জন্যে। আর রোজা হচ্ছে কেবল আমার জন্যে। (আমার জন্যেই সে খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং যৌন কামনা-বাসনাকে সংযত করে।) তাই রোজার পুরস্কার আমিই তাকে দেবো। রোজা হচ্ছে (পাপাচার ও জাহান্নামের আগুনের বিরুদ্ধে) বর্ম। অতএব তোমরা যখনই রোজা রাখো, তখন ফালতু আজেবাজে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবে না, চেঁচামেচি করবে না। কেউ গালি দিলে বা ঝগড়া করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির (বিশেষ সুগন্ধি) গন্ধের চেয়েও পছন্দনীয়। রোজাদার দুটি আনন্দ লাভ করে। প্রথমত, ইফতারের সময়। দ্বিতীয় আনন্দ লাভ করবে—যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

১২১৯.
মানুষের প্রত্যেকটি সৎকর্মের নেকি আল্লাহ গুণিতক করেন। ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি দান করেন। আর রোজার নেকি আল্লাহ নিজে দেবেন, কোনো সীমা ছাড়া, তাঁর ইচ্ছানুসারে।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

১২২০.
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আত্মশুদ্ধির নিয়তে যে রমজান মাসে রোজা রাখে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি