ধানের ৮ হাজারেরও বেশী জাতের নমুনা সংরক্ষিত
প্রকাশিত : ১২:২৯, ৪ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৯, ৪ নভেম্বর ২০১৬
৮ হাজারেরও বেশী ধানের জাতের নমুনা সংরক্ষিত আছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি এর ‘রাইস জিন ব্যাংকে’ এ। বন্য, স্থানীয় কিংবা উন্নত জাতের এই ধানের নমুনার সংগ্রহ; পরিণত হয়েছে একটি বড় জাতীয় সম্পদে। কোনো জাত হারিয়ে গেলে তা এই ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
শত শত বছর আগে’র বিশেষ কোন জাতের ধানের ভাতের খাবার স্বাদ কেমন ছিল? নিশ্চয়ই, কোন বৈশিষ্ট্যে বিশেষত্ব ছিল সেগুলোর। হয়তো, সে-সময়ের প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে উৎপাদিত হতো ধান গুলো? এমনই, নানা বিধ: প্রশ্নের উত্তর জমা হয়ে আছে, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর এই রাইস জিন ব্যাংকে।
ধানের জাতগুলো, কৃষক পর্যায়ে মাঠে চাষাবাদ-রত থাকলে হয়তো জলবায়ূ-প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে বৈশিষ্ট্যের বিবর্তিত হতে পারতো। কিন্তু, নিয়ন্ত্রিতভাবে সংরক্ষিত থাকায়, সেই সময়ের গুনাগুন অক্ষত রেখে এখনো টিকে আছে।
সব মিলিয়ে, ৮ হাজার ৪৪টি ধানের জাতের নমুনা সংরক্ষিত এই জিন ব্যাংকে। যার, মধ্যে একেবারেই স্থানীয় জাত হলো সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার। প্রত্যেক নমুনায় রাখা হয়েছে ২ শ থেকে আড়াই শ গ্রাম ধান।
কাঁচের জাড়ে এ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মাইনাস ২০ডিঃ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সিল করে রাখা আছে, দীর্ঘ মেয়াদের রাইস জার্মপ্লাজমগুলো। তেমনি, মধ্যম ও স্বল্প মেয়াদে ধানের নমুনাগুলো বিশেষ বিশেষ তাপমাত্রায় সংরক্ষিত আছে এখানে।
ব্যাক্তি পর্যায়ে, আবেদনের মাধ্যমে, পুনরায় উৎপাদন সাপেক্ষে, বিশেষ ধানের জাতের বীজ সংগ্রহের সুযোগ আছে; আর, গবেষকদের গবেষণার সুযোগ তো উন্মুক্ত আছেই।
অবশ্য, ভূমিকম্প কিংবা প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে, এই মহামূল্যবান সম্পদকে বাঁচাতে আরো একটি, ভূ-গর্ভস্থ জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও বিবেচনা করছে ব্রি।
এই জার্মপ্লাজম সেন্টারের সম পরিমান ধানের নমুনা সংরক্ষণ করা আছে, আর্ন্তজাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ইরি এর গ্লোবাল সিড ভোল্ট, নরওয়ে এবং আমিরিকায়।
আরও পড়ুন