ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

নতুন আলেক্সান্দ্রিয়া অন্য রকম এক গ্রন্থাগার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০, ১৫ মে ২০১৮

আলেক্সান্দ্রিয়ার প্রাচীনকালের গ্রন্থাগারটির পাশে আধুনিক সংস্করণটিও ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। সেই প্রাচীন গৌরব পুনরুদ্ধারে এটি এখন বিশ্বঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। কাচের নির্মিত রাস্তা দিয়ে ভবনে প্রবেশ করতে হয়। এর ভেতরে আছে বেশ কিছু জাদুঘর, একটি সম্মেলন কেন্দ্র, প্ল্যানেটেরিয়াম এবং একটি পাঠকক্ষ। পাঠকক্ষ ১১টি স্তরে দুই হাজার জনকে জায়গা দিতে পারে। বর্তমানে ৮০টি ভাষায় ১৫ লাখ গ্রন্থ এখানে আছে, তবে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৮০ লাখ গ্রন্থ। রয়েছে ৫০ হাজার ম্যাপ, ১০ হাজার পাণ্ডুলিপি, ৫০ হাজার দুর্লভ গ্রন্থ এবং ১০ হাজার আধুনিক বিশ্বের কপি ও ৫০ হাজার ভিজ্যুয়াল অডিও ফাইল।

গ্রন্থাগারের বেজমেন্টে ডিজিটাল ল্যাবের দেখা যায়। যেখানে পুরাতন বইকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজিটাল করার প্রোগ্রাম আছে। বর্তমানে প্রতিবছর গ্রন্থাগারে ৮০ লাখ ভিজিটর আসা-যাওয়া করেন। নতুন ভবনটি আল শেটবি এ আল সেলসিলা সৈকতের সামনে সাগর প্রাচীরের পাশে নির্মিত হয়েছে। বাইরে ভবন স্থাপত্য আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘরকে স্মরণ করে। আচ্ছাদনটি ধাতব কাঠামোর গ্লাসে তৈরি। বাইরের বাঁকানো বৃহৎ দেয়ালটি আসওয়ানের গ্রানাইট থেকে তৈরি করা হয়েছিল। ভেতরে শক্ত কাঠের লাইন হল। এ ছাড়া মেঝে ওক গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি।

প্রাচীন মানুষরা মনে করতো, পৃথিবী হলো খুবই পুরাতন। তারা দূরবর্তী অতীতকে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রাচীনত্বকে অনুধাবনের চেষ্টা করেছে। আমরা এখন জানি, তারা এ পর্যন্ত যা চিন্তা করেছেন, তার চেয়েও অনেক বেশি পুরাতন হলো শৃঙ্খলাপূর্ণ মহাবিশ্ব।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি