ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ১৩ জুলাই ২০১৯

নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। তীব্র হয়ে উঠেছে নদী ভাংগন। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এদিকে, বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার ১৭৭ ও সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার একশ’ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার পানি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটের অর্ধশতাধিক গ্রামে। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল।

নেত্রকোণার সোমেশ্বরী, উব্ধাখালী, কংশ ও ধনুসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টার ১৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সড়ক, বীজতলা; ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, সদর ও পীরগাছার চরাঞ্চলের ৪০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ল ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুটি বাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার।

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দ হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। হুমকির মুখে সদরের সারডোব, রাজারহাটের গাবুর হেলান গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি বৃদ্ধির সাথে তীব্র হয়েছে নদী-ভাঙনও।

এদিকে, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে শুকনো খাবার ও নগদ টাকা।

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র হয়েছে যমুনা নদীর-ভাঙন। চৌহালীতে গত দু’সপ্তাহে আবাদী জমি ও কয়েকশ’ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি