ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

নানা আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বুধবার যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।

নানা আয়োজন ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে এদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় দিনটি পালন করেছে। এ উপলক্ষে খ্রিষ্টান পরিবারগুলোতে কেক তৈরি করার পাশাপাশি ছিল বিশেষ খাবারের আয়োজন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ্, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডীন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় একদল সঙ্গীত শিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করেন।

পরে, রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

বড়দিন উপলক্ষে বুধবার গির্জায় গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। দিবসটি উপলক্ষে আজ ছিল সরকারি ছুটি।

এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করছে।

শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় সান্তা ক্লজ।
বড়দিন উপলক্ষে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।

এ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানো হয়। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়। সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি।

এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসে মেলা। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গির্জাগুলোয় আসতে থাকেন যিশু ভক্তরা। কয়েকটি পর্বে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলযজ্ঞের যিশুকে আহ্বান করে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এমনটাই প্রার্থনা তাদের।

এছাড়াও রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়। হোটেলগুলোতে মঙ্গলবারই আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়।

রাজধানীর পাশাপাশি গাজীপুরের নিকোলাসের গির্জায়ও ভক্তরা মেতে ওঠেন যিশু বন্দনায়। আজকের দিনে সত্য ও ন্যায়ের বাণী নিয়ে যিশুর আগমন মানব জীবনে যেন বারবার ফিরে আসে সে প্রত্যাশা ভক্তদের।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি