ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নুসরাত হত্যা : ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

প্রকাশিত : ১০:৪৫, ৭ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১০:৪৫, ৭ জুলাই ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুরসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আজ রোববার ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদের আদালতে কেরোসিন বিক্রেতা জসিম উদ্দিন, বোরখা বিক্রেতা লিটন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

এর আগে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। সে দিনই এ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজকের দিনটি ধার্য করা হয়।

এ মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাত জাহানের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য ২৭ জুন গ্রহণ শুরু করেন আদালত। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন ও নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষী কার্যক্রম চলছে।

এদিকে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। গত ৩০ জুন ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহিমের আদালতে এ চার্জ গঠন করা হয়। আজ ৭ জুলাই এর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। প্রতারণার মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ ছাড়াও উম্মুল কুরা মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্য নুর নবী নয়ন ও মোতাহের হোসেন মোর্তজার বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করা হয়েছে।

গত ২৬ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার অফিসকক্ষে নুসরাত জাহান রাফিকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ঘটনার পরদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা নুসরাতকে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয়। নুসরাত তাতে রাজি না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার দিন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ফেনীল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এর বিরুদ্ধে ২৭ এপ্রিল শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার।

এরপর ৬ এপ্রিল ২০১৯ সকালে উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত। তাকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নুসরাতের চোখে চুন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে মেরেছিল অপরাধীরা।

এমএস/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি