ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

অগ্নিঝরা মার্চ

পতাকা উত্তোলনের দিন

প্রকাশিত : ০৮:২৮, ২ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১০:৪৯, ৬ মার্চ ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আজ ২ মার্চ। একাত্তরের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বতঃস্ম্ফূর্ত হরতাল পালিত হয় এবং তাঁর নির্দেশে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব প্রদান করেন ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, ডাকসু সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন। পরে এ পতাকা নিয়ে আন্দোলিত রাজপথ মুখর হয়ে ওঠে স্লোগানে স্লোগানে- ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’; ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’; ‘স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা, শেখ মুজিব শেখ মুজিব’; ‘বঙ্গবন্ধু এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’; ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’; ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, সোনার বাংলা মুক্ত করো’; ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা-বাংলা’; ‘ভুট্টোর মুখে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’; ‘স্বাধীন করো স্বাধীন করো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।

স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দের বিশাল একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সমবেত হয়। এদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন নাগরিক প্রাণ হারানোর সংবাদে বঙ্গবন্ধু এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেন এবং ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সামরিক কর্তৃপক্ষ সান্ধ্য আইন জারি করলে জনতা তা অমান্য করে ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর কুশপুত্তলিকা দাহ করে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং সেনাবাহিনী বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল সহিংস হয়ে ওঠে।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি