ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পথশিশুরা সমাজেরই অংশ

প্রকাশিত : ১৩:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

পথেই বাড়ি, পথেই ঘর, পথই আপন ঠিকানা। কেউ তাচ্ছিল্য করে, কেউবা সখ করে বলে ‘ফুলকুঁড়ি’। পথশিশুরা সমাজেরই অংশ, অথচ সমাজ যাদের জন্য ভাবে না। দারিদ্র, পারিবারিক সমস্যাসহ নানা কারনে রাজধানীসহ শহরগুলোতে বাড়ছে এই পথশিশুর সংখ্যা। যেখানে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার কথা, সেখানে উল্টো তাদেরকে নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রহিম মিয়ার ঘরবাড়ি সবই তার কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। পরিবার স্বজন ছাড়া চার বছর ধরে এখানেই কাটছে রহিমের রাতদিন। অথচ এই শিশুদেরও আছে বড় হবার ভাবনা, বেড়ে ওঠার গল্প। রহিমের মত বাকিদের কথাও প্রায় একই। কারও পারিবারিক সহিংসতা; আবার কারও গল্প দারিদ্রের। ক্ষুধা নিত্য সঙ্গী, অনিদ্রা খেলার সাথী, যন্ত্রণা আপনজন আর চাঁদের আলো যেনো ঘরের বাতি। ঠিকানা পথে হলেও, দেখে মনে হয় না কষ্ট আছে ,অযথা ভাবনা যতো সমাজের। কিন্তু, সমাজ কি আদৌ ভাবছে সেভাবে ? নদীভাঙন, পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা, দারিদ্র কিংবা অবহেলার কারণে ঘর ছেড়ে রাজধানীতে পাড়ি জমাচ্ছে হাজারো পথশিশু। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র ও মোস্ট অ্যাট রিস্ক অ্যাডলোসেন্ট-এর জরিপ অনুযায়ী দেশে পথশিশু ১০ লাখের বেশি। রাজধানীতে এ সংখ্যা চার লাখের বেশি। কোন কোন সংগঠন এদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিলেও, ধরে রাখতে পারে না। পথের এই শিশুদের কথা কেউ শোনে না, তাদের নিয়ে নেই কোন সরকারী জরিপও। বিশেষজ্ঞরা আশাবাদি হয়েই বলছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য এরাও কম কাজে দেবে না। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও সবধরনের মৌলিক সুবিধা বঞ্চিত এসব পথশিশুদের জীবনমান নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি