ঢাকা, বুধবার   ১৩ আগস্ট ২০২৫

‘পুলিশের অনেকে সেদিন হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিলেন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার জমায়েত ঠেকাতে যে পুলিশরা বলপ্রয়োগ করছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিলেন বলে দাবি করেছেন শহীদ আহম্মেদ (৪০) নামের এক ব্যক্তি। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষ্যে এ দাবি করেছেন তিনি।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন শহীদ। তিনি শহিদ মো. ইয়াকুবের চাচা।

আজ শহীদ আহম্মেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

জবানবন্দিতে শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আমি, আমার ভাতিজা ইয়াকুব, আমার ছেলে সালমান, এলাকার রাসেল, সুমন, সোহেলসহ আরও অনেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দিই। সাড়ে ১১টায় চানখারপুল এলাকায় পৌঁছালে দেখি হাজার হাজার লোক চার দিক থেকে জড়ো হচ্ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘তখন চানখারপুল মোড়ের উল্টো পাশে অনেক পুলিশ ও ছাপা পোশাকধারী পুলিশ ছিল। ওই সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনি। এমনকি তারা আমাদের বাধা দিচ্ছিল। একইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’

শহীদ আহম্মেদ বলেন, “ফাঁকা গুলি ছুড়তেই আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। আবার আমরা সামনে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন আমাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায় পুলিশ। এতে আমার পাশের একজনের পায়ে গুলি লাগে। তাকে আমি সরাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই একজন বলে ওঠেন ‘‘আপনার ভাতিজা ইয়াকুবের গায়ে গুলি লেগেছে।’’ আমি ওই ছেলেকে আরেকজনের কাছে রেখে ভাতিজার কাছে যাই। পরে আরও দুজনসহ ভাতিজাকে অটোরিকশায় করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা বলেন, ‘‘ইয়াকুব মারা গেছে।’’ আমি আমার ছেলে সালমানকে ফোন করে ইয়াকুবের মাকে জানানোর জন্য বলি। তাকেও হাসপাতালে আসতে বলা হয়।’

শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘ইয়াকুবকে কারা গুলি করেছে তা পরে জেনেছি। অর্থাৎ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। ডিএমপির মো. ইমরুল, ইন্সপেক্টর আরশাদের উপস্থিতিতে কনস্টেবল সুজন, নাসিরুল ও ইমাজ গুলি করেছিলেন। আরও অনেকেই ছিলেন। আমি আসামিদের বিচার চাই।’

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি