ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মালিক গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:১৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নি দুর্ঘটনায় দগ্ধ অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক হামজালাল শেখ, শামিম আহম্মেদ, রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।

ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার পর আগুনে পুড়ে যায় অভিযান-১০। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত হয়ে ৮০ জনের বেশি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রাত ৩টার দিকে যখন চলন্ত লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়, যাত্রীদের বেশিরভাগই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। না থামিয়ে ওই অবস্থায় চালিয়ে নেওয়া হয় অনেকটা পথ। এক পর্যায়ে নদীর মধ্যে পুরো লঞ্চ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন শনিবার ঝালকাঠি সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এরপর বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসির রোববার ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে।

আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে রোববার তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেন মতিঝিলের নৌ আদালতে। সেখানে লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি