ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

পোল্ট্রি ফিডে ক্ষতিকর উপাদান (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০, ২৩ এপ্রিল ২০২২

এখনও শতভাগ নিরাপদ নয় পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির ফিড। মুরগির খাবার তৈরিতে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্রোমিয়াম সম্বলিত এ্যানিমেল প্রোটিনের ব্যবহার। কিছু পদক্ষেপ নিলে ও নজরদারি বাড়ালে ভেজিটেবল উপাদান দিয়ে শতভাগ নিরাপদ ফিড তৈরি সম্ভব বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক খাত পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি। অতিরিক্ত লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রাণীর চামড়ার উপজাত দিয়ে পোল্ট্রিফিড তৈরি করে আসছিলেন। তাতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়ার পর এই এ্যানিমেল প্রোটিনের ব্যবহার বন্ধে আসে সরকারি ঘোষণা। 

পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির মুরগি ও ডিমের মধ্য দিয়ে এই ক্রোমিয়াম প্রবেশ করছে মানবদেহে, এমন গবেষণার পর নড়ে-চড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। গেল কয়েক বছর ধরে ভেজিটেবল উপাদান দিয়ে নিরাপদ ফিড তৈরি করছে সেসব পোল্ট্রিফিড প্রতিষ্ঠানগুলো।

ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, “সরকারের সাথে এক হয়ে সব এ্যানিমেল প্রোডাক্ট আমরা বাদ দিয়ে দেই। আমরা এগ্রি করলাম, এটা ব্যানট করে দেওয়া হোক। আমরা সব ভেজিটেবল বেইজড প্রোটিন তৈরি করছি।”

তবে এখনও সাভার ও হাজারিবাগের ট্যানারি থেকে চামড়া উপজাত কিনে ফিড বানাচ্ছে একটি চক্র। এটিও বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন পোল্ট্রিফিডের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।

এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, “বড় মিড মিলরা কেন করবে, বাদনাম কেন নিবে। এতো বিষাক্ত জিনিস। আমাদের ফিড তো নিয়মিত পরীক্ষা করছে সাভার প্রাণী সম্পদ কার্যালয়। তবে এটা হতে পারে, হলেও এটা সহজেই কন্ট্রোল করা যায়।”

নিবন্ধিত ৯০টি এবং তিনশটি অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সারাদেশে তৈরি করছে পোল্ট্রিফিড। তাদের ওপরে কর্তাব্যক্তি এবং সরকারি নজরদারি বাড়ানোর দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি