ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টার আরেক মামলায় ১১ আসামির যাবজ্জীবন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫০, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টার বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।


রোববার বিকালে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ দিন ধার্য করেন। গত ১৬ অক্টোবর মামলার শুনানি শেষে এ দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।  

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে এই মামলার হত্যাচেষ্টার জন্য দণ্ডবিধির দুটি ধারায় পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে একই বিচারক মো. জাহিদুল কবির ১১ জনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তাঁদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মিজানুর রহমান, মো. শাজাহান বালু, গাজী ইমাম হোসেন, গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, জাফর আহমেদ ও হুমায়ুন কবির ওরফে হুমায়ুন।

এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় হুমায়ুন কবির ওরফে কবিরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১১ জনকে অভিযুক্ত করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহমেদ ও এইচ কবির।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, শেষের তিনজন পলাতক এবং অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি