ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের অগ্রগতি ৯৯.৫ শতাংশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৬, ১৫ জুন ২০২৩

দক্ষিণ এশিয়ার  প্রথম নদী তলদেশের বহুল প্রতীক্ষিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ টানেলের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এখন পর্যন্ত টানেলের মূল কাজের অগ্রগতি ৯৯.৫ আর নির্মাণ কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। 

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মূল টানেলের ৯৯.৫ শতাংশ কাজ শেষ করেছি এবং প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৫ শতাংশ। এখন  টানেলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শেষ পর্যায়ের কাজ  চলছে।’

তিনি বলেন, টানেলটি আসলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনস’-এ পরিণত করবে। এটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলটি সেপ্টেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারকে সরাসরি চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, টোল প্লাজা সংক্রান্ত ক্রস প্যাসেজ ও টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ড্রেনেজ সিস্টেমের নির্মাণ কাজ এবং পাম্প স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে।

নির্মাণাধীন টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪০ কিলোমিটার। যাতে ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি এপ্রোচ রোড ও একটি ৭৪০ মিটার ব্রিজের পাশাপাশি মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সাথে সংযুক্ত করবে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান বন্দর নগরী ও কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশকে নদীর পূর্ব দিকে এবং আনোয়ারা উপজেলার সাথে যুক্ত করে মোট ৭৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই  সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের কঠিন এই কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। 

প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করবে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদের হারে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। (বাসস)

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি