ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্মরণে ব্রিটিশ হাই কমিশনার (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৫, ১০ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৫:৫৪, ১০ জানুয়ারি ২০২০

পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সেই ঘটনাই স্মরণে আনলেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন।

বাংলাদেশে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের প্রস্তুতি লগ্নে এক ভিডিও বার্তায় বঙ্গবন্ধুর সেই লন্ডন সফরকে দুই দেশের অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্বের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন ডিকসন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার বন্দি করে বঙ্গবন্ধুকে; সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার ২৪ দিন পর দেশে ফেরেন তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডন পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ।

ভিডিও বার্তায় ডিকসন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে মুক্ত হন, তখন তিনি বাংলাদেশে আসার পথে যুক্তরাজ্য সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের সাথে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করেন।”

ওই সময় হিথ ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে তিনি ছুটি শেষ না করেই ফিরে এসেছিলেন।

ঐতিহাসিক সে ঘটনা তুলে ধরে ডিকসন বলেন, “পরবর্তীতে স্যার এডওয়ার্ড হিথ এই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে ইউকে পার্লামেন্টে বলেন, ‘যখন শেখ মুজিব আমার সাথে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করতে আসেন তখন আমি তাকে ভারতীয় উপমহাদেশীয় তিনটি দেশের পরস্পরের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার আমাদের নীতির বিষয়ে অবগত করি’। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করব’।”

দুদিন পর ১০ জানুয়ারি ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের একটি কমেট জেট বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যেখানে বাংলাদেশর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল স্বাধীনতার স্থপতির জন্য।

বঙ্গবন্ধুর ওই সফরকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি আখ্যা দিয়ে ডিকসন বলেন, “লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর এই সফর ইউকে-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ও দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের ভিত্তি। সেই সময় থেকে যুক্তরাজ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী এবং এ দেশের মানুষের সমৃদ্ধির শুভাকাঙ্ক্ষী।”

বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদাতা দেশগুলোর মধ্যে সামনের সারিতে ছিল যুক্তরাজ্য, ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশটি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে অন্যান্য কমনওয়েলথ ও পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করে।

ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ‘মুজিব বর্ষ’কেও স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, “আমি আনন্দিত যে আগামী ১০ জানুয়ারি মুজিব বর্ষ উদ্বোধন করে এই ঐতিহাসিক ঘটনা পুনরায় তুলে করা হবে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আমি তা দেখার প্রত্যাশা করছি।”

দুই দেশের মধ্যে আরও জোরাল সম্পর্ক প্রত্যাশা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতায় দেওয়া এই ভিডিও বার্তায় হাই কমিশনার বলেন, “যুক্তরাজ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনকে স্বাগত জানায়। যুক্তরাজ্য প্রত্যাশা করে আগামীতে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে।”

দেখুন ভিডিও-


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি