ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট ১৫ জুলাই’র আগেই : আইনমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১০, ২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:১৫, ২ জুলাই ২০১৭

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট ১৫ জুলাইয়ের আগেই প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, এটা বিচারকদের শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব রাখবে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখে এটা করা উচিত, যেন এর মধ্যে এমন কিছু না থাকে, যা পরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে দেখা হচ্ছে। আমি আশা করি এ মাসের ১৫ তারিখের আগেই গেজেট হয়ে যাবে।

এর আগে এদিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, এটাই ‘শেষ সুযোগ’। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে গেজেট প্রকাশের অগ্রগতির ওপর আদেশ প্রদানের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এরপর আদালত দুই সপ্তাহের জন্য বিষয়টি মূলতবি করেন।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত রায়ের পর আইন মন্ত্রণালয় ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার’ খসড়া প্রস্তুত করে।

কিন্তু ওই খসড়াকে রায়ের পরিপন্থি বলে তা সংশোধন করে সরকারকে বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সরকার দফায় দফায় সময় নিয়েও গেজেট প্রকাশ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে সর্বোচ্চ আদালত। 

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রশাসন ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৯ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। আমার মনে হয় সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকবেন। সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে একটা শেষ ড্রাফট করার চেষ্টা করব।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আসছে কিনা- এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, যে ড্রাফট এখনো শেষ হয়নি, সেটার উপর আপনারা যে অভিমত দিচ্ছেন, আমি বলব তা প্রিম্যাচিউর আলোচনা। ২০০৬ সালে হওয়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০১৩ সালে সংশোধন করে ১০ বছর থেকে সাজা বাড়িয়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় অজামিনযাগ্য।

৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।

ওই ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তথ্য-প্রযুক্তি আইন থেকে ৫৭ ধারা বাদ দিয়ে আলাদাভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন  হলে এ নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর হবে বলে এর আগে আশা দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী।

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি