ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ চে গুয়েভারার মৃত্যুদিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৮, ৯ অক্টোবর ২০২১

কিউবা বিপ্লবের মহানায়ক চে গুয়েভারার ৫৪তম মৃত্যু দিবস ৯ অক্টোবর, শনিবার। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর করে। মৃত্যুর পর তিনি সমাজতন্ত্র অনুসারীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হন।

বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ, গেরিলা নেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে তার নাম আজও ধ্বনিত হয়। চে গুয়েভারা বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম।

ইতিহাসের নন্দিত বিপ্লবী চরিত্রের চে গুয়েভারা ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আর্নেস্তো গুয়েভারা দে লা সের্না। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ডাক্তার। তারপরেও চে গুয়েভারা ছিলেন একাধারে বিপ্লবী, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ ও সমরবিদ।

এই মহান বিপ্লবীর মৃত্যুর পর তার শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন বিপ্লবের মুখচ্ছবি হিসেবে বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়।

কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে। বলিভিয়াতে থাকার সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন।

যুবক বয়সে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছায় ভর্তি হন মেডিসিন বিষয়ে। ভালোই চলছিল তার ডাক্তারি পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন আর প্রেম। বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ মোটরসাইকেলে বের হলেন নিজ ভূখণ্ড ভ্রমণে। এ ভ্রমণ আর্নেস্তোকে বঞ্চিত মানুষদের ‘চে’ বা ‘বন্ধু’তে পরিণত করে।

দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল ভ্রমণে আর্নেস্তো একদিকে যেমন দেখেন নিম্নশ্রেণীর মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়ন; আর অন্যদিকে দেখেন শাসকের দুর্বৃত্তায়ন, শোষণ, অত্যাচার। এ বোধ থেকেই শুরু করেন মানব মুক্তির লড়াই। চে গুয়েভারা ছিলেন কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি