বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মুসলমানরা
প্রকাশিত : ১০:১০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:১০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
মুসলিম অধ্যুষিত ৭ দেশের নাগরিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মুসলমানরা। বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় এসব দেশের নাগরিকদের। এর প্রতিবাদে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ করে মার্কিনীরা। এর পরপরই ট্রাম্পের এ আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় নিউইয়র্ক ফেডারেল জাজ । এদিকে, প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের সাথে ফোনালাপের পর দু দেশের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।
মুসলিম অধ্যুষিত ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে নির্বাহী আদেশে সই করার সময় আকাশপথে ছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য এ ইরাকী নাগরিক। নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরই আটকে দেয়া হয় তাকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহায়তায় তিনি ছাড়া পেলেও তার মতো অনেককেই বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষিত মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মুসলমানরা। বৈধ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আটক রাখার প্রতিবাদে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ করে মার্কিনীরা।
ইরাক, ইরান, সিরিয়াসহ মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর নাগরিকদের নিষিদ্ধের আদেশের ফলে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের জন্য নয়।
এ আদেশের পরে টেক্সাসের একটি মসজিদে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
এর পরপরই ট্রাম্পের এ আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় নিউইয়র্কের ফেডারেল জাজ।
এদিকে, প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের সাথে ফোনালাপের পর দু দেশের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। ফোনালাপে তাদের সাথে কোরিয়া ও আইএস নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানায় ক্রেমলিন।
একই দিনে জার্মানের চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদ, অস্ট্রেলিয়ায়র প্রধানমন্ত্রী ম্যালকমম টার্নবুল ও জাপানের পড্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে আইএস নির্মুলের পরিকল্পনা দেয়া সহ আরো তিনটি নির্বাহী আদেশে সই করেছের ট্রাম্প।
আরও পড়ুন