ঢাকা, সোমবার   ১২ মে ২০২৫

ব্রাজিলে একদিনে আক্রান্ত ১৭ হাজার; মৃত ৫১৬

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সাও পাওলোতে একটি কবরস্থানের কর্মীরা কফিন প্রস্তুতে ব্যস্ত- রয়টার্স/ডয়চে ভেলে

সাও পাওলোতে একটি কবরস্থানের কর্মীরা কফিন প্রস্তুতে ব্যস্ত- রয়টার্স/ডয়চে ভেলে

Ekushey Television Ltd.

ব্রাজিলে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে করোনার প্রকোপ। একই সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হার। যেখানে গত একদিনে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাক্রান্ত হয়েছেন। গত এক দিনে দেশটিতে মারা গেছেন ৫১৬ জন। কিছুটা উন্নতি হয়েছে এ অঞ্চলের পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতেও। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকালে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩৩০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৬জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫১৭ জনে ঠেকেছে। অপরদিকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৪ জন। 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক জনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় চিলিতে ৪ লাখ, পেরু ও কলম্বিয়ায় আক্রান্ত ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। 

এর মধ্যে পেরুতে আক্রান্ত ৬ লাখ সাড়ে ৯১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৭৬ জনে ঠেকেছে। কলম্বিয়ায় শনাক্ত ৬ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৮১৭ জনের। আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪০৫ জনের। 

চিলিতে সংক্রমিত ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৬৮২ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। 

এমএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি