ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোট চাওয়ার কৌশল এখন ডিজিটাল পদ্ধতি (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ০৯:২৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

মাইকিং, মিছিল কিংবা সরাসরি কুশল বিনিময়ের দিন শেষ। প্রচারের মাধ্যম এখন ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ আরও কিছু ইলেকট্রনিক মাধ্যম। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ছড়ানো হচ্ছে গুজব আর মিথ্যাচার। সবমিলে পুরনো দিনের মতো আবেগ আর ভালোবাসা নেই ভোটের প্রচারে। 

গ্রাম থেকে শহর কিংবা গঞ্জের হাট থেকে স্কুলের অভিভাবক নির্বাচন। সবখানে ভোট চাওয়ার কৌশলে এখন ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি।

সাবেকি আমলের প্রচার কৌশল উতরে গ্লোবাল দুনিয়ার অনেক সরঞ্জামাদি এসেছে প্রতিপক্ষ রুখতে। যাতে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে।

২০১২ সালের পর বাংলাদেশে ভোটের প্রচারে মাঠে নামে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। আগে ব্যক্তি পর্যায়ে এসবের ব্যবহার থাকলেও সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিচ্ছে প্রার্থীর প্রচার ব্যবস্থাপনায়। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তারা তৈরি করছে নানামুখী ধরণ।

এর অবশ্য তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে। সত্যের কুঠুরি ভেদ করে অনায়াসে ঢুকে যাচ্ছে মিথ্যা আর গুজব। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি, নিন্দামন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ায় সহসা কেউ বিশ্বাসও করতে চাইছে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবরগুলো। 

তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জুবায়ের কবির বলেন, “বিশ্বব্যাপী ভোটাররা এখন অনলাইনে অ্যাকটিভ। তারা নিজেদের মতামত সেখানে দিতে পছন্দ করছে।”

প্রধান প্রধান দলগুলোও নিজেদের দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আর নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। আছে স্ব স্ব দলের নামে ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “দলের লোকজন, মুখপাত্র অথবা সাধারণ মানুষ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে নানা রকম কথা বলেন। এমনকি বিপক্ষেও এতো ধরনের কুদসা রটনা করে যেগুলো সত্যের অপলাপ। অন্তত নির্বাচনের এই দিনগুলোতে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।”

দলীয় দর্শন, মার্কা, প্রতিশ্রুতি, উন্নয়ন আর ভবিষ্যতের কর্মপন্থা ঘোষণা ছাড়াও ভোটব্যাংক সমৃদ্ধকরণে নতুন পুরনো সবগুলো দল। 

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো প্রযুক্তি সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য তারা এটা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউবে কিছু প্রচার করে এটা প্রতিমুহূর্তে যে কোনো মানুষ দেখার সুযোগ পায়। গণমাধ্যম তো নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তাদের সংবাদ বুলেটিন প্রচার করে।”

উগ্রতা ছড়িয়ে ভোট প্রার্থনার কৌশলগুলো সম্প্রতি এতোটাই বেড়েছে যে অনেকে বিশেষভাবে বিরক্ত হয়ে উঠেছে সামাজিক প্লাটফর্মের খবরে।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি