ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

ভ্যাকসিন উৎপাদনে অংশীদার বাংলাদেশও (ভিডিওসহ)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনে ৫০টি দেশের সঙ্গে অংশীদার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সবশেষ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বিজ্ঞানীরা জানান, অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় কোভিড ভাইরাস দ্রুত রূপ পরিবর্তন করছে বাংলাদেশে।

মহামারী প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীগণ করোনা ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি ও বিস্তারের রূপ নির্ণয়ের ওপর গবেষণা করছেন। পাশাপাশি ভ্যাকসিন এবং নিরাময় ওষুধ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশেও ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর কাজ এগিয়ে চলছে। এরই সবশেষ তথ্য জানাতে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের এই সংবাদ সম্মেলন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮টি বিভাগ থেকে ৩শ’ ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। তাতে সংক্রমণ, রূপ বদলের হার, জিনগত বৈচিত্র এবং মানবদেহে এর বিস্তার ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, অনেক বড় রিস্ক নিয়ে কিন্তু এই কাজগুলো করা হয়েছে। সবাইকে আমি কংগ্রাচুলেট করতে চাই যে, তারা বাংলাদেশের এই দুঃখের দিনে অনেক বড় কাজ করেছেন।

পরে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, ২৬৩টি ভাইরাসের নমুনার জিনোম বিশ্লেষণে দেখা গেছে- ৭৩৭ পয়েন্ট এই অনুবীজটির মিউটেশন হয়। বিশ্বে মিউটেশনের হার যেখানে ৭ দশমিক দুই তিন, সেখানে বাংলাদেশে এই হার আরও বেশি বলেও জানান তিনি।

বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, জীনগত বৈচিত্র পরিবর্তন করার জন্য সার্স গ্রোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা প্রসেসিং করা হয়।

এই গবেষণা প্রতিবেদন ৫০টি দেশে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের যে ৫টি প্রতিষ্ঠান জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ তার একটি বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

এই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

ভিডিওতে দেখুন- 

এএইচ/এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি