ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভ্রাম্যমাণ আদালত : হাইকোর্টের রায় আরও দুই সপ্তাহ স্থগিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৪, ৪ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১১:১৭, ৫ জুলাই ২০১৭

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় আরও দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের করা সময়ের আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়ে শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ১১টি ধারা-উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাই কোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, এ আইন বিচার বিভাগের স্বাধীনতারও পরিপন্থি। রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে বিষয়টি গত ২১ মে আদালতে ওঠে।

অ্যাটর্নি জেনারেল ওইদিন শুনানি ছয় সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে ওই সময় পর্যন্ত হাই কোর্টের রায় স্থগিত করে দেয়।


রায়ের সার-সংক্ষেপে হাই কোর্ট বলে, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের এসব ধারা মাসদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একইসঙ্গে সংবিধানের মৌলিক দুটি স্তম্ভ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থি। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

এর আগে তিনটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ ও ২০১২ সালে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১১ মে ওই রায় দেয়।

২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি হয়। পরে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাস করে তা আইনে পরিণত করে। এরপর থেকে এটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন নামে পরিচিত।

এ আইনের ৫ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনের ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯ ও ১০ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পদ্ধতি, ১১ ধারায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা ও ১৩ ধারায় আপিল সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। আর ১৫ ধারায় তফসিল সংশোধনে সরকারের ক্ষমতার বিধান রয়েছে।

আপিল বিভাগের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পরে সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের রায়ের পর কয়দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ থাকায় ৩৭টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকলে ইভটিজিং বেড়ে যায়, দখল বেড়ে যায়, খাদ্যে ভেজাল বেড়ে যায়। তাছাড়া আসন্ন রোজায় ভেজালবিরোধী অভিযানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই হাই কোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল ওইদিন শুনানি ছয় সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ রাখে।

//আর//এআর

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি