ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মহাবিস্ফোরণের পূর্বে বিশ্বে কিছুই ছিল না: হকিং

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৯, ৫ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মহাবিস্ফোরণের পূর্বে সৌরজগৎ বা পৃথিবী বলতে কিছুই ছিল না। শুধু সৌরজগৎ বা মহাবিশ্ব-ই নয়, মহাবিস্ফোরণের পূর্বে কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না বলে দাবি করেছেন বিগ ব্যাঙ্গ থিউরির প্রবক্তা ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন জে হকিং।

গত রোববার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে এক টকশোতে উপস্তিত হয়ে বিগ ব্যাঙ এর প্রবক্তা এই কথা বলেন। এ সময় তার বিগ ব্যাঙ্গ থিউরি নিয়ে নানা দিক তুলে ধরেন।

বিগ ব্যাঙ তত্ত্বে বলা হয়েছে, এক ক্ষুদ্র বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে এ বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। আর ক্রমান্বয়ে তা প্রসারিত হয়েছে। আজ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে ক্ষুদ্রকণার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টি। এখনো মহাবিশ্ব নিজেকে আকৃতি দান করছে বলেও দাবি করেন ওই বিজ্ঞানী।

এদিকে খোদ বিজ্ঞানীদের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে মহাবিশ্বের বিস্ফোরণের পূর্বে এখানে কি ছিল? যদি বলা হয়ে থাকে যে এখানে কিছুই ছিল না, তাহলে বিস্ফোরণ ঘটলো কিভাবে?


এদিকে ওই টকশোতে নেইল ডিগ্রেস টাইসনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। টাইসনও বিগ ব্যাঙ্ ইস্যুতে নিজের মত তুলে ধরেন। স্টিফেন হকিংয়ের থিউরিটি দাঁড়িয়ে আছে মূলত একটি অনুমানের উপর। আর সেটি হলো মহাবিশ্বের আজ পর্যন্ত কোন সীমানা পাওয়া যায়নি। আর এর সীমানা না পাওয়াটাই বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান হকিং। উল্লেখ্য, টাইসন নিজেও একজন পদার্থবিজ্ঞানী।

বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের আরেক কথা হলো, পুরো বিশ্ব ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া এটাকে একটি ক্ষুদ্র বলের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। হকিং বলেন, ক্ষুদ্র বস্তুর মধ্যে প্রচুর তাপ ও শক্তি সঞ্চারণ করা গেলে তা ক্রমশই বিস্ফোরণের দিকে যায়। এবং এক পর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়।

এদিকে বিগ ব্যাঙ এর পূর্বে সঠিক সময় কাল্পনিক সময়ের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে দাবি করেন হকিং। পৃথিবীর মানুষকে সময় নিয়ে দ্বিধা কাটানোর জন্য গ্রীক দার্শনিক ইউক্লিড একটি কাল্পনিক সময়ের আবর্তন করেন বলে জানান হকিং।

হকিং আরও বলেন, একজন হয়তো ধরে নিলো দক্ষিণে সময় শুরু হয়েছে। তবে সত্যিকার অর্থে পৃথিবীরতো কোন দক্ষিণ বলে কিছু নেই। তাই বিগ ব্যাঙ এর পূর্বে কোন কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি