ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৭ জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ১০ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৪:২৫, ১০ আগস্ট ২০১৬

যশোরের কেশবপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৭ জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনাল। বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করে। পলাতকদের ইন্টারপোলের সাহায্যে গ্রেফতারের কথা বলেন ট্রাইব্যূনাল। পাশাপাশি ভিক্ষুক মিরন শেখকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেয়ার জন্যও পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করে ট্রাইব্যূনাল। বেলা পৌনে এগারোটায় ট্রাইব্যূনালের কার্যক্রম শুরু হয়। তার আগে ৬ আসামী পলাতক থাকায় কারাবন্দী ২ আসামী সাখাওয়াত ও বিল্লাল হোসেনকে নিযে আসা হয় ট্রাইব্যূনালে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সাখাওয়াত সে সময় ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য। ওই সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে আল বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল। আর বাকিরা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার বাহিনীর সদস্য বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়। রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা পাঁচ অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে সাখাওয়াতের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। বাকী ৬ জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়। এই রায়ে ‘সন্তুষ্ট নন’ জানিয়ে সাখাওয়াতের আইনজীবী বলেছেন, তারা আপিল করবেন। আসামীরা মানবতার শত্রু উল্লেখ করে ট্রাইব্যূনাল পর্যবেক্ষনে বলেন, ধর্ষনকে যুদ্ধকালীন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ পাবেন ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত আসামিরা। তবে পলাতকদের এ সুযোগ নিতে হলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি