‘মানি লন্ডারিং বেঞ্চ’ চূড়ান্ত করতে আইনজীবী সমাজীকে দায়িত্ব মার্কিন দূতাবাসের
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ১৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৩৫, ১৮ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের বিচারকদের জন্য মানি লন্ডারিং বেঞ্চ বইয়ের খসড়া চূড়ান্ত করতে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজর (এটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা) সমাজীকে এ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
তার মেধা, দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অফিস অফ ওভারসিস প্রসিকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যান্ড ট্রেনিং বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং আইন সম্পর্কিত একটি খসড়া বিচারিক বেঞ্চ বই তৈরি করেছে। বইটি বাংলাদেশের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হবে, যা বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। বিচার প্রসাশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পাঠ্যক্রমেও তা অন্তর্ভুক্ত হবে।
এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) দায়িত্বপালনকারী এ আইনজীবীকে বর্তমান সরকার গত ২৭ অগাস্ট একই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন হয়।
তবে তিনি তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী ২০০৭-২০০৯ মেয়াদে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে তিনি রাষ্ট্র/প্রসিকিউশনের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ফৌজদারি আদালতে সমস্ত মামলা পরিচালনা করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
এহসানুল হক সমাজী বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলাসহ অসংখ্য ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন ক্রিমিনাল প্র্যাকটিশনার হিসাবে অনুশীলন করতে উৎসাহিত বোধ করেন। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পার্ট-টাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রায়াল এবং অ্যাডভোকেসি দক্ষতা শেখান।
তিনি একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। এহসানুল হক সমাজী বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (CrPC) কোড, UNDP- Bangladesh-এর সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন