ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধর্ষণ

মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে একজনকে ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে হাসান আলী বুলু (৬০) সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের প্রধান সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অপরদিকে, জসিম উদ্দিন (৩০) সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কলা বিক্রেতা।

জসিমকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে চরজব্বার থানা পুলিশের একটি দল। পরে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাসান আলী বুলুকে।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ‘মামলার এজাহারে বুলু বা জসিমের নাম ছিল না। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পায়।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, চারজন ইটভাটা শ্রমিক।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, মামলার অপর আসামিদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ‘হাসান আলী বুলু ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। ভোটকেন্দ্রে তার সঙ্গেই ওই নারীর ঝামেলা হয়েছিল। পরে সে দশ হাজার টাকায় কয়েকজন ইটভাটা শ্রমিককে ভাড়া করে।’
চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি