ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মেঘনার ভাঙ্গনে সর্বশান্ত ৪ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার (ভিডিও)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫১, ১৭ জুন ২০২১

মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে ভাঙ্গনের কবলে সর্বশান্ত হয়েছে ৪টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। মেঘনার বাম তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও অগ্রগতি নেই। মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। 

৪ বার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছেন মেঘনার তীর ঘেঁষা সোনাবালুয়ার বাসিন্দা কৃষক অহিদ মিয়া। ১৭ কানি জমি, বসতবাড়িসহ সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব তিনি। 

মেঘনার ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙা, সোনাবালুয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমি, বাড়িঘর, রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অহিদ মিয়ার মতো হাজারো মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব। 

তারা জানান, ছোট ছোট ঘর বেঁধে থাকি, অনেক ভয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এভাবে থাকা সম্ভব নয়, রাতে অন্ধকারে ভয়ের কারণে ঘুম আসে না, বাচ্চাদের নিয়ে চিল্লাপাল্লা করতে করতে সময় শেষ।

ভাঙ্গন রোধে ২০২০ সালের মার্চে ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চলতি মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা ছিল। মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও ১ বছর।

স্থানীয়রা জানান, এরা ঠিকমতো কাজও করে না, বস্তাও ফালায় না। লেবারদের টাকা-পয়সা ঠিক মতো দেয় না তাই তারা ঘুরে ফিরে চলে যায়। প্রকল্পের টাকা ঠিকাদার উঠিয়ে নিয়ে যান, লেবারদের টাকা না দিয়ে পুরো টাকাই হরিলুট হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মান নিয়ন্ত্রণসহ যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, একটি বার্জ এবং ৩টি বোর্ডের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলো চলমান আছে এবং আমাদের কাজগুলো স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, প্রকল্পের অর্থের সঠিক ব্যবহার না হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, প্রকল্পের কাজ তার উপর নির্ভরশীল বা জিম্মি হয়ে আমরা থাকবো না। সুতরাং কোন ছাড় দেয়ার প্রশ্নই উঠে না, ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার দাবি এলাকাবাসীর। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি