বিশ্বজিৎ হত্যা
যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি ইউনুস গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১০:১১, ১ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১০:৪৩, ১ নভেম্বর ২০২২

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খন্দকার মো. ইউনুস আলী ওরফে ইউনুসকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের কেল্লাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউনুস মাগুরা সদর উপজেলার খন্দকার ইয়াকুব আলীর ছেলে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ চলাকালে দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাঁখারীবাজারে দর্জির দোকান ছিল বিশ্বজিতের। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন তিনি।
আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বরে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তখন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।
নিম্ন আদালতের রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, খন্দকার ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অন্য দুজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে দুজন আপিল করে খালাস পান। হাইকোর্টের রায়ে ইউনুস আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
এসএ/
আরও পড়ুন