ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫

যেভাবে ব্লু হোয়েলে আসক্ত হলো রাজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৬, ১১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৩:১৭, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র রাজন (ছদ্মনাম)। গত ৫ অক্টোবর রাত ২টায় তার মেসেঞ্জারে আসে একটি লিংক। ঘটনার শুরু সেখান থেকেই। কৌতূহলের বশে লিংকটিতে ক্লিক করে সে। ক্লিকের সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইলে ব্লু হোয়েল গেমটি ডাউনলোড হয়ে যায়। উত্তেজনার বশে নানা আলোচিত সমালোচিত গেমটির প্রথম চারটি ধাপ খেলে রাজন।

যার প্রথম ধাপে তাকে সারারাত ক্যাম্পাসে হাঁটতে বলা হয়। দ্বিতীয় ধাপে বলা হয় হলের ছাদের রেলিংয়ে হাঁটা। তৃতীয় ধাপে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে নীল তিমি আঁকতে বলা হয়। পরের চতুর্থ ধাপে সারাদিন চুপচাপ বসে থাকতে বলার নির্দেশ দেয় গেমটির এডমিন।

পুরো বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রাজনের হলের এক বড় ভাই ফেসবুকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজাকে জানান।

পরবর্তীতে তার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে ওই ছাত্রকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসে। এরপর চলে কাউন্সিলিং। ক্রমাগত কাউন্সিলিংয়ে ভিকটিম নিজের ভুল বুঝতে পারে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা। এ সময় ভিকটিম জানায়, সে শুধুমাত্র কৌতূহলবশত লিংকটি ক্লিক করেছিল। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

এদিকে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ থেকে এ গেমের ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। পাশাপাশি যারা এ গেমটিতে আসক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় আত্মহত্যার চেষ্টার অপরাধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ওই ছাত্রকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।

ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতের এক মরণঘাতী গেমস `ব্লু হোয়েল`। ৫০ পর্বের এ গেমটি শেষ আত্মহত্যার মধ্যে দিয়ে। আর এ পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ওই ছাত্র রাজন।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি