ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যৌন সক্ষমতা থাকলেই কি বাবা হওয়া যায়?

প্রকাশিত : ২০:১৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সন্তান জন্ম না হওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি কাজ করে। আমরা অনেকেই মনে করি সন্তান না হওয়ার জন্য শুধু মেয়েরাই দায়ি। আসলে এ ধারণা ভুল। সন্তান হওয়ার জন্য স্বামী বা স্ত্রী দুজনেই বা যেকোনো একজনই দায়ি হতে পারেন।

এখনকার মেয়েরা পড়াশুনা শেষ করা, ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সব বিবেচনায় রেখে অনেক দেরিতে বিয়ে করছে। বিয়ের পর পরও তাদের অনেকে বাচ্চার জন্য চিন্তা করছে না। তারা হয়তো তখন আরেকটু গুছিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে। সংসারটা আরেকটু গুছিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে। এগুলো করতে করতে বয়স ৩০-৩৫ হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে এসে তারা কনসিভ করার চেষ্টা করছে।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমাদের ফুড হ্যাবিট। আমরা এখন জাঙ্ক ফুডে এত বেশি অভ্যস্ত হয়ে গেছি, অনেকেই শারীরীক ভাবে অতিরিক্ত ওজন ধারন করি। ওবেসিটি একটা বড় সমস্যা। কারণ, যখনই মেয়েরা ওবেস হয় তখনই মেয়েদের শরীরে হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।

পলিসিস্টিক ওভারী একটা বড় সমস্যা যার প্রধান কারণ ওবেসিটি। যখনই একটা মেয়ের ওজন বাড়ে আট থেকে দশ কেজি তখনই তার শরীরের প্রত্যেকটা হরমোন আস্তে আস্তে ভারসাম্য হারায়।

এটা দিনকে দিন বাড়তে থাকে ও প্রকট হতে থাকে।  হরমোন ভারসাম্য হারানোর সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে প্রেগনেন্সি না হওয়া। এর ফলে আমাদের দেশে মেয়েদের সন্তান ধারনে সমস্যা হচ্ছে।

সন্তান না হওয়ার জন্য মেয়েরা যেমন দায়ি তেমনি ছেলেরাও দায়ি। সন্তান ধারনের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়ের ভূমিকা আছে।

তবে আমাদের দেশে ছেলেরা এমন সমস্যা নিয়ে আমাদের ( গাইনী ডাক্তার) কাছে আসতে চায় না। অধিকাংশ সময় দেখা যায় মেয়েটা একা আসে এবং বলে প্রেগন্যান্সি ট্রিটমেন্ট করবে।

আমরা যদি বলি, হাজবেন্ডকে নিয়ে আসতে হবে। হাসবেন্ডেরও কিছু পরীক্ষা নীরীক্ষা করা দরকার। তখন তারা বাসায় গিয়ে বললে হাজবেন্ড তাতে রাজী হয়না।

তখন তারা বলে, না আমার তো কোন প্রব্লেম নাই। মানুষ হিসেবে তার আউটলুকিং খুব সুন্দর হতে পারে। কিন্তু সে যে প্রেগন্যান্সির জন্য ফিট তা নাও হতে পারে।

তাই আমরা যদি প্রেগন্যান্সি ট্রিটমেন্ট করতে যাই তাহলে আমরা মেয়েটির নানা বিষয় অবশ্যই পরীক্ষা নিরীক্ষা করব। পাশাপাশি ছেলেটির ( হাজবেন্ড) একটি টেস্ট অন্তত সিমেন এ্যানালাইসিস করতেই হবে যেটাতে বুঝা যাবে যে হ্যাঁ, তিনি ফিট আছেন।

যদি সেই সিমেন টেস্ট নরমাল থাকে তাহলে হাজবেন্ডের আর কোন টেস্ট করার দরকার পড়েনা। কিন্তু যদি সিমেন টেস্টে কোন ঝামেলা থাকে তাহলে তাকেও ইনভেস্টিগেশন করতে হবে।

লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস- কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি