রাজধানীতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা
প্রকাশিত : ১২:০৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১২:০৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৬
খোদ রাজধানীতেই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। দখল হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা এবং রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি। বাদ যাচ্ছে না সরকারি হাসপাতালও। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। সমন্বিত পরিকল্পনায় দখলদার উচ্ছেদ করে গ্রিন ঢাকা বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহাখালীর সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল। দখলবাজদের দৌরাত্ম্যে হাসপাতালটি খুঁজে পাওয়া যেন দায়।
সাততলা এই হাসপাতালের গন্ডির ভেতরেই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, তাই এটি সাততলা বস্তি নামেই পরিচিতি পেয়েছে।
বস্তির ভেতরেই গড়ে উঠেছে আধা পাকা ভবন। দোতলা-তিনতলা তৈরির প্রস্তুতিও চলছে।
যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তাদের অনেকেই অবশ্য তা স্বীকারও করেন।
হাসপাতালের পরিচালক জানালেন, কিছু অসাধু কর্মচারী ও স্থানীয় দখলবাজদের কাছে তারা জিম্মি।
দখলের কবলে পড়ে ধুঁকছে প্রমত্তা বুড়িগঙ্গাও।
খানকাহ শরীফের নামেও দখল হয়েছে বুড়িগঙ্গা। নদীর ভরাট করে বানানো হয়েছে গ্যারেজ, বাগানবাড়ি এমনকি পার্কও।
অবশ্য সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে রেলওয়ের জায়গা। গড়ে উঠেছে বস্তি ও বাজার।
সরকারী জায়গায় বস্তি বানিয়ে মালিক বনে গেছেন দখলদাররা। ভাড়াও দিয়েছেন অনেকে।
রেলওয়ের এতো বিশাল সম্পত্তি বেদখল থাকলেও মহাপরিচালক জানালেন, অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
সুষ্ঠু পরিকল্পনায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার দবি বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন