রাজধানীর জিঞ্জিরায় শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে
প্রকাশিত : ১০:০২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:০২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
রাজধানীর জিঞ্জিরায় শুধু নকল পণ্যই তৈরি হয় না। ছোটো ছোটো কারখানায় তৈরি হয় ছোটো-বড় বিভিন্ন ধরনের পণ্য। চোখের দেখা আর কল্পনা শক্তিতেই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ। শ্রমিকদের উদ্ভাবনী চিন্তা আর কঠোর পরিশ্রমের পরও নেই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিঞ্জিরার শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
বুড়িগঙ্গা তীরে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা। এখানে গড়ে উঠেছে ছোট বড় দুই হাজার কারখানা।
ইতিহাস অনুসন্ধানে জানা যায় ৬০ দশকে জীবিকার সন্ধানে ফরিদপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী এলাকার কিছু উদ্যোক্তা গড়ে তোলে ক্ষুদ্র শিল্প। এরপর কাজের জন্য নদীর ¯্রােতের মতো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হতে থাকে উদ্যোক্তা ও কারিগর।
এখানে তৈরি হয় স্ক্রু, রিপিট, নাট-বোল্ট, ওয়াসার, স্প্রিং, দরজা, তারকাঁটা, ছিটকিনি, বার্নার, দা বটি, বালতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন কারখানার যন্ত্রাংশসহ নানা ধরনের পণ্য।
কারিগরদের দাবী, াচন, তাইওয়ান, কোরিয়ার তৈরি বিভিন্ন পন্যের চেয়ে তাদের তৈরি করা পণ্য মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
জিঞ্জিরায় নকল প্রসাধনীর তৈরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিষয়টি অস্বীকার না করলেও কারিগররা জানান, ভেজালবিরোধী তৎপরতায় এখন প্রসাধনী উৎপাদন হচ্ছে না।
হালকা ও ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশে ১৯৮৬ সালে জিঞ্জিরা প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। কিন্তু প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। এতে হতাশ উদ্যোক্তারা।
বর্তমানে কেরানীগঞ্জ ও জিঞ্জিরা এলাকায় যেখানে সেখানে শিল্প গড়ে উঠেছে। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে জাপান, চীন তাইওয়ান দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন