ঢাকা, সোমবার   ১৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজসাক্ষী মামুনকে আনা হলো ট্রাইব্যুনালে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আনা হয়।

এদিন সকাল ৯টার পর কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় আজই শেষবারের মতো তাকে আনা হয়েছে। 

হাসিনা-কামাল পলাতক থাকলেও বছরখানেক ধরেই কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই আইজিপি। তবে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন প্রসিকিউশন। 

এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। 

নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্ত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ (সোমবার) সকাল ১১টার পর রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য দুই আসামিরা হলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

বহুল আলোচিত এই মামলায় পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়েছেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবীও খালাস প্রার্থনা করেছেন।

প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম। এছাড়া বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী এই মামলায় গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচার চলাকালে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরতে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে রাজসাক্ষী হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক  অভিযোগ জমা পড়ে। এখন দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সে সব অভিযোগের বিচার চলছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি