ঢাকা, সোমবার   ১৩ মে ২০২৪

রায়ে খুশি ওসি সালাউদ্দিনের পরিবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৬, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩০, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা হয়। সে সময় জঙ্গিদের দমন করতে অভিযান চালায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ অভিযানে জঙ্গিদের গুলিতে ওসি সালাউদ্দিনসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

আজ ওই ন্যাক্কারজনক জঙ্গি হামলার মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। 

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হামলায় নিহত তৎকালীন বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন এর পরিবার। রায় ঘোষণার পর বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের ব্যাংকপাড়ার বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে তার পরিবার এ প্রতিক্রিয়া জানায়। 

সালাউদ্দিনের বড়ভাই রাজু উদ্দিন খান রাজু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার ভাই বনানী থানায় ওসির দায়িত্বে থাকাকালীন এই হামলা হয়। সেখানে জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে সে শহীদ হয়। এই রায়ে সমস্ত জঙ্গিগুলোর ফাঁসি হয়েছে। এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। 
তার মতে, এই রায় যাতে দ্রুত কার্যকর ও বাস্তবায়িত হয়। আমি আশা করবো, উচ্চ আদালত থেকে এই রায় দ্রুত কার্যকর হবে। রায় কার্যকর হলে যারা জঙ্গিবাদে দিক্ষিত হচ্ছে তারা ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলবে। তারা বুঝতে পারবে এই দেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। জঙ্গিবাদের কারণে নিজেদের জীবন দিতে হবে। তাই এই পথ থেকে তারা সরে যাবে।’

সালাউদ্দিনের আরেক ভাই রাজিউদ্দিন খান রাজু বলেন, ‘আমরা সব জঙ্গির ফাঁসি চেয়েছিলাম, তাই হয়েছে। একজন খালাস পেয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।’ খালাসপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি দোষী হলে তাকে উচ্চ আদালত সাজার আওতায় আনবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

তিনি জানান, সালাহউদ্দিনকে হারিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগানোসহ সংসারের সব ব্যয় বহনসহ পরিবারের সার্বিক দেখাশোনা করতেন তিনি।

বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান মৃত্যুদণ্ডের এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসা‌মিরা হ‌লেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন। আলোচিত এই ঘটনায় এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি প্রায় দুই বছর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগ গঠন করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে শুরু হয় বিচারকাজ। 

আভিযান চলাকালে জঙ্গিদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি