ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের পর থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ’ গ্রাম এখনও খালি

প্রকাশিত : ১৩:৫৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৫৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের পর থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ’ গ্রাম এখনও খালি। এখনও চলছে সেনা তল্লাশী ও ধরপাঁকড়। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে যাচ্ছে না ত্রাণ-সহায়তা। এ কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে থামছেই না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। এখনও রাখাইন রাজ্যে পোড়া মাটির গন্ধ। ঘর-বাড়ি কিছুই নেই। সবই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। অক্টোবরে সেনাবাহিনীর তাণ্ডবের পর থেকে খালি হয়ে গেছে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৪শ’ গ্রাম। শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টায় রোহিঙ্গারা। নির্যাতনের ভয়ে বাড়ি না ফিরে পারিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছেন নদী অথবা-সাগরে। সরকারি নিষেজ্ঞাধার কারণে, সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে। মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখনো থামেনি সেনাবাহিনীর তল্লাশী। অক্টোবরের ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় সাড়ে ৫শ’রও বেশি রোহিঙ্গাকে। তাদের মধ্যে অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নীপিড়ন আর দেশ ত্যাগের ইতিহাস বহু বছরের পুরনো। ইতিহাস বলছে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের স্বাধীন রাজ্য ছিল। এরপর বৌদ্ধ রাজা বোদাওফায়া ও ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে নিপীড়নের শিকার হন তারা। ১৯৬২ সালে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। কালা' নামে পরিচিত এ জাতিগোষ্ঠি হয়ে পড়ে বিশে^র একমাত্র রাষ্ট্রবিহীন নাগরিক। গেল বছর নোবেল জয়ী অং সান সুচির দলের জয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি