শরিয়তপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ, ক্লাস করতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্যেই
প্রকাশিত : ১০:০০, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:০৭, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭
ক্লাস হয়, ঠিকই। শিক্ষকেরও স্বল্পতা নেই। কিন্তু জরাজীর্ণ স্কুল ভবনের কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না। এ অবস্থা শরিয়তপুরের জাজিরার বড় কৃষ্ণনগর কাজী-কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। রীতিমতো ঝুঁকির মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানালেন, সারাদেশে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন ও ক্লাসরুম সংস্কারে দুইশ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
বছরের, শুরুতে নিয়ম করেই, নতুন বই পেতে দেরি হয়নি। ক্লাসও হয় নিয়মিত। কিন্তু ভাঙাচোরা স্কুল ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যেই ক্লাস করতে হয়। তাই পাঠেও বসছে না মন।
পুরোনো জরাজীর্ণ ভবন। এরকম অনেক কক্ষেই নেই কোনো দেয়াল। বিভিন্ন স্থানে এভাবে ফাটল ধরায় পুরো ভবনটিই রয়েছে ঝুকির মধ্যে।
বাড়ি’র কাছের স্কুল রেখে দূরের স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে চান না অভিভাবকরা। তাই বার বার ধর্না দিয়েছেন শিক্ষা অফিসে। তারপরও মেলেনি সুফল।
এ অবস্থায় অনেক অভিভাবকই সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য স্কুলে। শিক্ষার্থী হারিয়ে অসহায় স্কুলের শিক্ষকরা।
মন্ত্রণালয়ের কাছেও তথ্য আছে, এ স্কুলের মতো দেশের অনেক স্কুল ভবনই জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। এজন্য দ্রুতই একটি প্রকল্প শুরুর কথা জানালেন মন্ত্রী।
ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ করার পরিকল্পনার কথাও জানালেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন