ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

‘শহিদুল আলম আন্তর্জাতিকভাবে বহু লোকের সঙ্গে কানেক্টেড’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে যদি লাইভ পোস্ট করা হয় এবং বিষয়টি যদি স্পর্শকাতর, মিথ্যা ও উসকানিমূলক হয়, তবে এটাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ শহিদুল আলম আন্তর্জাতিকভাবে বহু লোকের সঙ্গে কানেক্টেড।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের বিব্রত হওয়ার পর মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।  

মাহবুবে আলম বলেন, ‘শহিদুল আলমের মামলাটি আজ (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত ছিল। সকালে যখন তাদের আইনজীবী আবেদনটি শুনানির জন্য মেনশন করেছেন, তখন বিচারপতি দুজনের মধ্যে একজন বিব্রতবোধ করেছেন। ফলে মামলাটি আজকে শুনানি হয়নি। এই মামলাটি ও মামলার নথিপত্র এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি আবার অন্য কোনও বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ মামলায় শুনানি করতে চেয়েছিলাম। এজন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত শুনলেন না। তাই আমার বক্তব্যও উপস্থাপন করা হয়নি।’

আদালতের বিব্রত হওয়ার বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘‘বিব্রতের বিষয়ে আদালত কিছুই বলেননি। আমাদের কোর্টের ‘মেটার অব প্র্যাকটিস’ অনুসারে বিব্রত হওয়ার কারণ কখনও বলা হয় না।’

এদিকে শহিদুল আলমের আইনজীবীরা দাবি করছেন, তাকে বিনা কারণে আটকে রাখা হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটা ঠিক না। আমি যা পড়ে দেখলাম, এখানে একটি লোক আন্তর্জাতিকভাবে বহু লোকের সঙ্গে কানেক্টেড। তার ফেসবুক থেকে যদি একটি লাইভ পোস্ট করা হয় এবং যেখানে বিষয়টি স্পর্শকাতর, মিথ্যা ও উসকানিমূলক হয়, তবে এটাকে তো খাটো করে দেখার কোনও অবকাশ নেই।’

এর আগে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারক শহিদুল আলমের জামিন শুনানিককালে বিব্রত প্রকাশ করেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ড. শাহদীন মালিক ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, বিশ্বজিৎ দেবনাথ প্রমুখ।

জামিন আবেদন শুনানির আগে আদালতে আবেদনটির বিষয় (মেনশন) তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আমাদের একজন বিচারপতি আবেদনটি শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন। তাই আবেদনটি শুনবো না।’

এসি

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি