ঢাকা, রবিবার   ০৪ মে ২০২৫

শাপলা চত্বরের সেই ঘটনার অজানা তথ্য প্রকাশ করলেন আজাদ মজুমদার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০৬, ৩ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় এসেছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সেই রাতে রাজধানীর অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের শাপলা চত্বর ঘিরে তৈরি হয়েছিল এক ভীতিকর পরিবেশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ–র‍্যাব ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অভিযানে খালি করা হয়েছিল শাপলা চত্বর।

সেই ঘটনা স্মরণ করে আজ শনিবার (৩ মে) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। যেখানে অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, যখনই আমি হেফাজতে ইসলামকে কোন বড় বিক্ষোভ করতে দেখি, তখনই আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের উপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের। যখন গোটা বিশ্ব এই গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, তখন আমি ঢাকায় বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সাথে চ্যালেঞ্জিং কাজটি গ্রহণ করি। 

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লিখেছেন, আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আপনারা যারা এখন সাংবাদিকতার জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, মানবাধিকার রক্ষা করছেন, তারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না যে কাজটি কতটা কঠিন ছিল। 

তিনি আরও লিখেছেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট, হাসপাতালের লগবুক খুঁড়ে, নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে এবং কবরস্থানের প্রমাণ সংগ্রহ করে, মানুষকে খোলাখুলিভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, আমি সবসময় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয় বহন করতাম। 

সবশেষে লিখেছেন, নিরাপত্তার কারণে, আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।

প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব এ স্মৃতিচারণ করেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি