শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ১ জুলাই ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত দুইজন আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে পরর্বতী শুনানি সাতই জুলাই নির্ধারণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এই সময় নির্ধারণ করা হয়।
এই মামলার শুনানি বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ পড়ে শোনান। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন।
তবে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী প্রস্তুতির জন্য সমেয়র আবেদন করেন।
এই মামলার একমাত্র গ্রেফতার হওয়া আরেকজন অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহামহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুমের আইনজীবী আদালতে জানান, তারা অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করতে চান না।
এই মামলায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা, হত্যা, হত্যার চেষ্টা উসকানি, ষড়যন্ত্র করার মতো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৬ জুন শেখ হাসিনা ও খান আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরদিন ১৭ জুন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।
এএইচ
আরও পড়ুন