শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি।
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন তিনি। এছাড়া আলোচিত এ মামলায় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
প্রসিকিউশন বলছে, এ মামলায় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘নায়ক’ নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তারা গতদিনে আসতে না পারায় ট্রাইব্যুনালের কাছে সময় চাওয়া হয়। পরে আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ৬ জন সাক্ষ্য দেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল মোট ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। এ হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শহিদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।
এছাড়াও আলোচিত এ মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। মামলার তদন্তে তিনি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং ক্ষমা চেয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে অজানা অনেক তথ্যও উন্মোচন করেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। এছাড়া, ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন