ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সচেতন হলেই যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড প্রাপ্তি সহজ (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে

প্রকাশিত : ১৬:০০, ২২ মে ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে নন-সিটিজেনের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাঙালিও রয়েছেন। নাগরিক সুবিধা পেতে ট্যাক্স ফাইল সচল করাসহ আরও কিছু কাজের পরামর্শ এটর্নিদের।

অনেকের কাছেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে স্বপ্নের দেশ। বিভিন্ন ধরণের ভিসায় দেশটিতে পৌঁছানোর পর বহু মানুষ আর ফেরেননি ঘরে। ভিসা না পেয়ে কেউ কেউ আসেন পালিয়ে। নাগরিকত্ব লাভের আশায় অতপর দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এমন নন সিটিজেন মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখের মতো।

এটর্নিরা বলছেন, বাঙালিরা আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। নিয়মকানুন জানার পরও কেউ কেউ নথিপত্র হালনাগাদ করতে গড়িমসি করেন। আর এ জন্যই গ্রিন কার্ড কিংবা পাসপোর্ট পাওয়া তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। 

নিউইয়র্ক এটর্নি এ্যাট ল’ অশোক কর্মকার বলেন, “সব ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে গেছে, এটা সঠিক নয়। আন-ডকুমেন্ট যারা আছেন তাদের অনেকে আইনের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন।”

নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার ওয়াসি চৌধুরী বলেন, “যারা নন-ইমিগ্রান্ড আছেন, আন-ডকুমেন্ট আছেন তারাও যদি কাজ করেন রুলস অনুযায়ী তাদের ট্যাক্স ফাইল করার কথা। সে ক্ষেত্রে যদি ভবিষ্যতে অ্যামনেস্টির সুযোগ আসে বা কোনো ধরনের প্রোগ্রাম আসে সেই সময় তাদেরকে প্রুফ করতে হবে তারা কোথায় ছিল, কোন বছরে আসছে।”

ইমিগ্রেসন আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই গ্রিন কার্ড প্রাপ্তির ব্যাপারটি সহজ হয়ে যায়।

অশোক কর্মকার বলেন, “যারা এই দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, টেরোরিস্ট কাজের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।”

ওয়াসি চৌধুরী বলেন, “যে যে জায়গায় কাজ করুক না কেন সেটা আইআরএসকে রিপোর্ট করতে হয়। ফেডারেল ট্যাক্সেশন ডিপার্টমেন্ট এবং এস্টেট ডিপার্টমেন্টকেও রিপোর্ট করতে হয়। সেই অনুযায়ী আইআরএস ও স্টেট পরবর্তীতে তাদেরকে চিঠি দেয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি স্টেটে প্রায় ৫০ লাখ বাঙালিদেশীর বসবাস। যাদের অনেকেরই নেই বসবাসের অনুমতি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি