ঢাকা, বুধবার   ০৪ জুন ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের ‘বিশেষ সুবিধা’ বাড়ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৩, ২ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না দিলেও তাদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধার’ পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) সকালে উপদেষ্টা পরিষদে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর বিকালে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “২০১৫ সালের পর কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।”

বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এর আগে ইতিবাচক মন্তব্য শোনা গেছে অর্থ উপদেষ্টার মুখেও।

২০ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, “মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। একটা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। মহার্ঘ ভাতা হওয়ার চান্স মোটামুটি, কিন্তু হয়ত একটু সময় লাগবে।”

তবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী ধরনের সুবিধা থাকবে কিংবা কতটা বাড়ানো হবে, তা অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতায় স্পষ্ট নয়।

তবে বিসিএস তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তার ধারণা, “নিয়মিত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন মাস থেকে বাড়তি অংশ যোগ হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

“সরকার চাইলে জুলাই থেকেও যোগ করতে পারে; আবার দেরিতেও করতে পারে। তবে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে।”

সোমবার অর্থ উপেদষ্টো সালেহউদ্দিন আহেমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।

প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো হওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০১৫ সালে সবশেষ বেতন কাঠামো কার্যকর করা হয়। এরপর আর কোনো বেতন কাঠামো হয়নি। এ কারণে মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকেও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনায় উঠেছিল। তবে সরকারের আর্থিক টানাপড়েনের কারণে সেই আলোচনা বেশি দূর আগায়নি।

রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বিরোধিতাও আসে। গেল ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, “চলমান পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিলে তা নিঃসন্দেহে সমস্যা সৃষ্টি করবে।

“এই সময়ে মহার্ঘ ভাতা তো মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের, তাদের তো কোনো আয় বাড়ছে না। এটা একটা সমস্যা। এই বিষয়গুলো আপাতত খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না।”

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি